বাংলাদেশ সদ্য দেখেছে ছাত্র-জন আন্দোলনের জেরে রাজনৈতিক অস্থির অবস্থা। যার জেরে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান শেখ হাসিনা। হাসিনাকে মসনদ থেকে উৎখাত করা সেই আন্দোলনের নেপথ্য মস্তিষ্কদের নাম সদ্য প্রকাশ্যে আনলেন বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস। আমেরিকার বুকে সেই পড়ুয়াদের মঞ্চে ডেকে, সর্বসমক্ষে তিনি তাঁদের প্রশংসায় ভরিয়ে দেন।
মঞ্চে তখন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন। এদিকে, তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে তখন ভাষণ দিচ্ছেন বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের প্রধান তথা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস। এই আসর ছিল,'দ্য ক্লিন্টল গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ'র। বক্তব্য রাখার সময় মহম্মদ ইউনুস মঞ্চে ডেকে নেন কয়েকজন পড়ুয়াকে। জনসমক্ষে তাঁদের প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে আন্দোলন হয়েছে, তার নেপথ্যে ‘মস্তিষ্ক’ হিসাবে ছিলেন এই পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের মধ্যে তখন মার্কিন মঞ্চে তিন ছাত্র ছাত্রী উপস্থিত। তাঁদের মধ্যে থেকে মেহফুজ আবদুল্লা, যআঁকে মেহফুজ আলম নামেও অনেকে চেনেন, তাঁকে হাত ধরে টেনে নেন মহম্মদ ইউনুস। এই মেহফুজ আলমই বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের কমিটিগুলির সমন্বায়ক। মেহফুজের পরিচিতি সকলের সঙ্গে করাতে গিয়ে মহম্মদ ইউনুস বলেন,'আর চার পাঁচটা সাধারণ যুবকের মতো লাগে ওদের দেখতে, আপনারা আলাদা করে বুঝতে পারবেন না। কিন্তু ওঁরা যখন সক্রিয় হন, বা আপনি যখন ওঁদের কথা শুনবেন, আপনি চমকে উঠবেন। তাঁরা তাঁদের বক্তৃতা, নিষ্ঠা ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে গোটা দেশকে নাড়া দিয়েছিল। তাঁরা বলেছেন, যে আপনি চাইলে আমাদের মেরে ফেলতে পারেন, কিন্তু আমরা হাল ছাড়ব না।'
খুব গুরুত্বপূর্ণভাবে এই অনুষ্ঠানে আরও একটি কথা বলেন মহম্মদ ইউনুস। তিনি বলেন, মেহফুজ হলেন ' এই আন্দোলনের নেপথ্য মস্তিষ্ক, উনি বারবার এটা অস্বীকার করেন, কিন্তু এভাবেই তাকে চেনা যায়।' খুব তাৎপর্য এক বার্তায় আমেরিকার বুকে জনসমক্ষে, ইউনুস ওই আন্দোলন নিয়ে বেশ কিছু বক্তব্য় রাখেন। ইউনুস বলেন, বাংলাদেশের ওই আন্দোলন,খুব যত্ন সহকারে 'ডিজাইন' করা হয়। মহম্মদ ইউনুস বলেন,'নেতৃত্বও (শাসক) জানতা না যে কারা এটার (আন্দোলনের) নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাঁরা যখন কথা বলেন, তাঁরা বিশ্বের যে কোনও জায়গায় যে কোনও তরুণকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন।' তিনি বলেন, ‘এটা হঠাৎ করে আসেনি, এটা সেরকম নয়, এটা ভালোভাবে পরিকল্পিত ছিল। ’