শেখ হাসিনা যুগ পেরিয়ে নয়া অধ্যায় শুরু হল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা ২০ মিনিট (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) নাগাদ বঙ্গভবনের দরবার হলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথগ্রহণ করেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। শপথবাক্য পাঠের পরে রীতি মেনে স্বাক্ষর করে ইউনুস। তারপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৬ জন উপদেষ্টার নাম ঘোষণা করা হয়। তবে আজ শপথগ্রহণ করেছেন ১৩ জন। বঙ্গভবনের তরফে জানানো হয়েছে যে সুপ্রদীপ চাকমা, বিধানরঞ্জন রায় এবং ফারুকি আযম ঢাকায় নেই। তাই আজ তাঁরা শপথগ্রহণ করেননি। তাঁরা দ্রুত শপথগ্রহণ করবেন বলে সূত্রের খবর।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হলেন কারা কারা?
বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী শীর্ষ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে যে ১৬ জন উপদেষ্টার নাম ঘোষণা করা হয়, তাঁদের মধ্যে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা তথা হাসিনা সরকারের পতনের অন্যতম কারিগর নাহিদ ইসলাম। তিনি ছাড়াও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরও এক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। আছেন দুই হিন্দুও।
১) সালেহউদ্দিন আহমেদ।
২) আসিফ নজরুল।
৩) আদিলুর রহমান খান।
৪) হাসান আরিফ।
৫) তৌহিদ হোসেন।
৬) সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান।
৭) শারমিন মুরশিদ।
৮) বিধানরঞ্জন রায়।
৯) ফারুকি আযম।
১০) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেন।
১১) সুপ্রদীপ চাকমা।
১২) আ.ফ.ম খালিদ হাসান।
১৩) ফরিদা আখতার।
১৪) নুরজাহান বেগম।
১৫) মহম্মদ নাহিদ ইসলাম।
১৬) আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
বাংলাদেশের ‘প্রধান’ হওয়ার পরে প্রথম বার্তা ইউনুসের
প্রথম ভাষণে ইউনুস বলেন যে ‘নিষ্ঠুর স্বৈরচারী সরকার দূর হে’। কাল সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রের সুবিচার হবে। নির্ভয়ে মতপ্রকাশ করা যাবে। স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করতে পারবেন মানুষ। বাংলাদেশের তরুণদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়। তাঁরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন ইউনুস। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্ব আজ অবাক হয়ে বলছে, সাবাশ বাংলাদেশ, সাবাশ বাংলাদেশের ছাত্ররা।’