বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে নাকি বাংলাদেশে আয়না ঘর ছিল। সেখানে নাকি হাসিনা বিরোধীদের চরম অত্যাচার করা হত। এখানেই নাকি গুম করে রাখা হত বহুজনকে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকেই এই আয়নাঘর নিয়ে নানা মহলে নানা চর্চা। এই আয়নাঘরকে নিয়ে রহস্যের অন্ত নেই। নানা প্রতিবেদনে এই আয়নাঘরের নানা হাড়হিম ঘটনার কথা সামনে এসেছে।
এবার সেই আয়নাঘর ঘুরে দেখলেন ইউনুস। তার একাধিক ছবি সামনে এসেছে ইউনুসের প্রেস উইং মারফতও। সেখানে ইউনুসকে দেখা যাচ্ছে গোটা ঘরটি ঘুরে দেখতে। একজন তাঁকে বুঝিয়ে দেন কীভাবে হাসিনার আমলে অত্যাচার করা হত।
একটা সময় এই আয়নাঘরে বন্দি ছিলেন এমন কয়েকজনও ইউনুসের সঙ্গে ছিলেন। এই আয়নাঘর আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরা এলাকায় ছিল বলে খবর। গোপন বন্দিশালা। দেখলেই গা ছমছম করে। কী হত সেখানে? প্রাক্তন বন্দিরা সেটাই দেখান ইউনুসকে। একাধিক ঘর, বিশেষ ধরনের চেয়ার দেখেন মহম্মদ ইউনুস।
কিন্তু আচমকা এই আয়নাঘরকে প্রকাশ্যে আনা নিয়ে এত কেন উদ্যোগ ইউনুস সরকারের?
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ঘরে বাইরে যথেষ্ট চাপে রয়েছে ইউনুস সরকার। সেই পরিস্থিতিতে হাসিনা বিরোধী হাওয়াতে পাল তুলে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই কি এই উদ্যোগ ইউনুস সরকারের?
সূত্রের খবর, বিচারের আওতার বাইরে এই আয়নাঘরে রাখা হত বন্দিদের। মূলত সরকারের বিরুদ্ধে আচরণ করছে এমন ব্যক্তিদের কার্যত অপহরণ করে রাখা হত এই আয়নাঘরে। এরপর শুরু হত অত্যাচার। কেউ জানতেই পারতেন না কোথায় চলে গেলেন তাঁরা? কার্যত উবে যেতেন তাঁরা। এরপর তাঁদের আর দেখা মিলত না। পরিবার পরিজনরাও তাঁদের খোঁজ পেতেন না। কার্যত এই আয়নাঘরে শুধু শারীরিক অত্যাচার করাই নয়, মানসিকভাবে বহু যন্ত্রণার মধ্য়ে তাদের যেতে হত। এমনটাই অভিযোগ।এই আয়নাঘর নিয়ে নানা সময়ে নানা চর্চা হয়েছে। তবে এই আয়নাঘরের ভয়াবহতার কথা এবার প্রকাশ্যে আনতে শুরু করল ইউনুস সরকার।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের তরফে সেই আয়নাঘরের কিছু ছবি সামনে আনা হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এই গুম সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সেই তদন্ত কমিশনের সদস্যরাও এই আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন। সাংবাদিকরাও সঙ্গে ছিলেন। একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে সারি সারি ঘর রয়েছে। তার একেবারে শেষ প্রান্তে রয়েছে শৌচাগার।