হিন্দুরা কাঁদছেন বাংলাদেশে। একের পর এক ক্ষেত্রে হিন্দুদের উপর নেমে আসছে নির্যাতন। অশান্ত বাংলাদেশে ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছেন সংখ্য়ালঘুরা। তবে হিন্দু নির্যাতন বন্ধে কতটা কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন ইউনুস তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস এবার বাংলাদেশের একটি টি টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্য গান লিখেছেন।
একদিকে কাঁদছেন হিন্দুরা। আর অন্যদিকে গান লিখছেন মহম্মদ ইউনুস। খুশির গান। আনন্দের গান। থিম সংয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই।’
৩০শে ডিসেম্বর বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের একটি টি টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। আর তার থিম সং লিখছেন খোদ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের মিডিয়া প্লাজায় অনুষ্ঠিত বিপিএল২০২৫ এর থিম গ্রাফিটি ও থিম সং প্রকাশের অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া জানিয়েছেন, একাদশ বিপিএলের থিম সং লেখায় হাত লাগিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস।
ওই প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠানে আসিফ মাহমুদ তাঁর ভাষণে বলেছেন, আমি যখন স্যারকে বলি, স্যার আপনি তো অলিম্পিক সহ অনেক বড় ইভেন্টের ডিজাইনে পরামর্শ দিয়ে থাকেন, আমাদেরও যদি একটু সহায়তা করেন। আমি তখন আশা করিনি যে স্যার ব্যক্তিগতভাবে এতটা সম্পৃক্ত হয়ে যাবেন। স্যার স্যারের টিমকে নিয়ে আমার থেকেও বেশি সম্পৃক্ত ছিলেন। এমনকী থিম সংয়ের( বিপিএলের) স্যার কয়েকটা লাইন নিজেই লিখে দিয়েছেন।
এদিকে রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আমেরিকার নিউ ইয়র্কে আওয়ামি লিগের একটি সমাবেশে ভার্চুয়াল বক্তৃতা রেখেছিলেন শেখ হাসিনা। সেই সময়ই শেখ হাসিনা দাবি করেন, বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তাঁকেও খুন করার চক্রান্ত করা হচ্ছিল। পাশাপাশি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসকে 'গণহত্যার মূলচক্রী' আখ্যা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে মন্দির, গির্জায় হামলার ঘটনায় বর্তমান শাসকই 'দোষী'। রিপোর্ট অনুযায়ী, শেখ হাসিনা নাকি বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তোলা হচ্ছে আজ। যদিও সত্যি কথাটা হল, সমন্বয়কারী ছাত্রদের সঙ্গে মিলে, পরিকল্পিত ভাবে মহম্মদ ইউনুসই গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন। ওঁরাই মূলচক্রী। লন্ডন থেকে তারেক রহমান (বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র) পর্যন্ত বলেছেন, এভাবে মৃত্যু ঘটে চললে এই সরকার টিকবে না।'