এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ অম্বানি। এবার নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করলেন তিনি। প্রথম ভারতীয় হিসাবে প্রবেশ করলেন ১০০ বিলিয়ন ক্লাবের তালিকায়। অর্থাত্ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নেট ওয়ার্থ রিলায়েন্স প্রধানের।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, মুকেশ আম্বানির সম্পদ চলতি বছর ২৩.৮ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৭,১৮,০০০ কোটি টাকা।
উত্তরসূরী হিসাবে মুকেশ অম্বানি ব্যবসার মান শুধু ধরেই রাখেননি, বরং তা কয়েক গুণ বৃদ্ধি করেছেন। পেট্রোলিয়ামের ব্যবসার পাশাপাশি আরও প্রসারিত করেছেন নিজের পোর্টফোলিও। টেলিকম(জিও), ই-কমার্স, রিটেল চেন ইত্যাদি খাতে সঠিক সময়ে বিনিয়োগই তাঁর ক্ষুরধার মস্তিষ্কের প্রমাণ।
আপাতত সবুজ শক্তিই লক্ষ্য তাঁর। আগামী কয়েক বছর গোটা বিশ্বে চাহিদা বাড়বে সবুজ শক্তি। আর সেই খাতে আধিপত্য বিস্তার করার সঠিক সময় এটিই। আগামী ১০ বছরে এই খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা মুকেশ অম্বানির।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়িতে থাকেন তিনি। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে তিনি ততটাই সাধারণভাবে থাকেন। এমনকি কয়েক বছর আগে রিলায়েন্সের অফিসে নিজের আলাদা কেবিনও ছেড়েছেন মুকেশ অম্বানি। আর পাঁচজন কর্মীর মতোই বসেন শেয়ার করা ঘরের টেবিল চেয়ারে। ছেলেমেয়েদের জন্যও সেই একই ব্যবস্থা।
স্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক কাজেও যুক্ত থাকেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে নিজের গুজরাতের প্লান্টে উত্পাদন কমিয়ে তড়িঘড়ি অক্সিজেন সরবরাহেরও ব্যবস্থা করেছিলেন।
আর কে কে আছেন এই তালিকায়?
টেসলা ও স্পেসএক্স-এর ইলন মাস্ক, আমাজন ও ব্লু অরিজিন-এর জেফ বেজোস, মাইক্রোসফটের বিল গেটস, ফেসবুক প্রধান মার্ক জুকারবার্গ, মোয়েট হেনেসি লুই ভিটন-এর প্রধান বার্নার্ড আর্নল্টের মতো বিশ্বখ্যাত উদ্যোগপতিরা রয়েছেন এই তালিকায়।