লকডাউনের বাজারেও একের পর এক ইনভেস্টর পেয়েছে রিলায়েন্স জিও। তার ফলে ক্রমশ আর্থিক প্রতিপত্তি বেড়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধারের। এর আগেই এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির শিরোপা পেয়েছেন মুকেশ আম্বানি। এবার মুকুটে জুড়ল নয়া পালক।
ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী এই মুহূর্তে নবম স্থানে মুকেশ আম্বানি। তিনি ওরাকল কর্পের ল্যারি এলিসন ও ফ্রান্সের ফ্র্যান্কয়েস মেয়ার্সকে পিছনে ফেলে প্রথম দশে এলেন। গত কয়েকদিনে জিওতে আসা লগ্নির সুবাদে এখন ঋণমুক্ত রিলায়েন্স। ২০২১ সালের টার্গেটের অনেক আগেই সেটা সম্ভব হয়েছে। রিলায়েন্সের ৪২ শতাংশ শেয়ার মুকেশ আম্বানির নিয়ন্ত্রণে।
জেএনইউ-এর অধ্যাপক জয়তী ঘোষ বলেছেন ভারতীয় অর্থনীতি লকডাউনে প্রায় শেষ হয়ে গেলেও ক্রমশই ফুলে ফেঁপে উঠেছে আম্বানির সংস্থাগুলি, বিশেষত জিও। তাঁর নিজের ধনরাশিও অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত দুই মাসে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাত্ এক লক্ষ কোটি টাকার ওপর লগ্নি পেয়েছে জিও। ফেসবুক, জেনারেল অ্যাটল্যান্টিক, সিলভার লেক পার্টনার্স, কেকেআর প্রভৃতি টাকা ঢেলেছে। কিছু বিশেষজ্ঞদের হিসাব মতো ২০২৫-এর মধ্যে ৪৮ শতাংশ মোবাইলের বাজার দখল করবে জিও।
রিটেল ব্যবসায় নিজেদের দখল বাড়ানোর জন্য এবার ফিউচার গ্রুপেও কিছু সত্ত্ব রিলায়েন্স নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।