ভারতে স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা আনার জন্য স্পেসএক্সের সাথে অংশীদারিত্বের বিষয়ে এয়ারটেলের ঘোষণা করে ১১ মার্চ। আর সেই ঘটনার একদিন পরই ইলন মাস্কের সংস্থার সাথে একই ধরণের চুক্তি ঘোষণা করেছে মুকেশ আম্বানির জিও। রিপোর্ট অনুযায়ী, জিও তার খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রগুলির পাশাপাশি তার অনলাইন স্টোরফ্রন্টগুলির মাধ্যমে স্টারলিংকের ডিভাইসগুলি বিক্রি করবে। চুক্তিটি স্পেসএক্সের ভারতে স্টারলিংক বিক্রির নিজস্ব অনুমোদন পাওয়ার সাপেক্ষে কার্যকর হবে। (আরও পড়ুন: অভ্যুত্থান ঘিরে জল্পনা, বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতে মুখ খুলল বাংলাদেশি সেনা)
আরও পড়ুন: ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে 'উল্লাস' করায় যুবকদের মাথা ন্যাড়া করাল পুলিশ
স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তির পর জিও-র তরফ থেকে বলা হয়েছে, 'এই চুক্তির মাধ্যমে ডেটা ট্র্যাফিকের ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর হিসাবে জিওর অবস্থান বজায় থাকবে। ভারতের সবচেয়ে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ সারা দেশে নির্ভরযোগ্য ব্রডব্যান্ড পরিষেবা সরবরাহ করতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় লো আর্থ অরবিট স্যাটেলাইট নক্ষত্রমণ্ডল অপারেটর হিসাবে স্টারলিংকের অবস্থানকে কাজে লাগাবে জিও। জিও তার খুচরা আউটলেটগুলিতে স্টারলিংক সরঞ্জাম সরবরাহ করবে। এর পাশাপাশি গ্রাহকদের পরিশেবা ইনস্টলেশন এবং অ্যাক্টিভেশনেও সহায়তা করবে।' (আরও পড়ুন: 'পঞ্চায়েতে ২ জেলায় ১.৫ লাখ ভোট', বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার সব আসনে লড়বে AIMIM)
আরও পড়ুন: 'ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ব্যনার্জি...', ভাইরাল ওড়িয়া গানের প্যারোডি মমতাকে নিয়ে
উল্লেখ্য, ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানে ইলন মাস্ক আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিলেন। ভারতও কয়েকদিন আগে জানিয়ে দেয় যে স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বণ্টনের ক্ষেত্রে নিলাম হবে না। বরং প্রশাসনিক ভাবে বণ্টন করা হবে স্পেকট্রাম। এর আগে টেরেস্ট্রিয়াল স্পেকট্রামের বণ্টন নিলামের ভিত্তিতে হত। জিও এবং এয়ারটেল এই পদ্ধতিকেই বেশি পছন্দ করে থাকে। তবে বরাবরই এই নিমাল পন্থার বিরোধিতা করে এসেছেন ইলন মাস্ক। আর এবার এয়ারটেল এবং জিও-র সঙ্গেই চুক্তিবদ্ধ হয়ে পড়ল মাস্কের স্পেসএক্স। (আরও পড়ুন: চালাতে না পারলেও টুকটুকে লাল রঙের টেসলা কিনলেন ট্রাম্প, গাড়িটির দাম কত জানেন?)
উল্লেখ্য, বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই প্রশাসনিক ভাবে স্যাটেলাইট স্পেক্ট্রাম বণ্টন করা হয়ে থাকে। তবে ভারতে স্যাটেলাইট স্পেকট্রামের নিলাম চেয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি। পাশাপাশি এয়ারটেলের ভারতী সুনীল মিত্তলও এই পদ্ধতিকেই সমর্থন করেন। তবে অ্যামাজনের প্রোজেক্ট কুইপার থেকে স্টারলিংক চাইছিল যাতে ভারতে প্রশাসনিক ভাবেই স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বণ্টন হয়। উল্লেখ্য, ভারত ইন্টারন্যাশনাল টেলিকম ইউনিয়নের সদস্য। এটি রাষ্ট্রসংঘের একটি সংস্থা। এই সংস্থার সদস্য হওয়ার সুবাদে ভারতের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে স্যাটেলাইট স্পেক্ট্রাম বণ্টন করা উচিত বলে দাবি করেছিলেন মাস্ক। তবে ভারতে প্রতিযোগীদের মোকাবিলা করার বদলে তাদের সঙ্গেই হাত মিলিয়েছে মাস্কের সংস্থা।