বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাজ্যসভার সদস্যপদের মেয়াদ শেষ হচ্ছিল। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার একদিন আগে ইস্তফা দিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের জল্পনা, নকভিকে এবার উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদপ্রার্থী করা হতে পারে।
সম্প্রতি রাজ্যসভার নির্বাচনের শেষদফায় চমক দিয়ে নকভিকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেনি বিজেপি। সেই পরিস্থিতিতে নিয়ম অনুযায়ী, মন্ত্রিত্ব থেকে তাঁকে ইস্তফা দিতে হত। সেইমতো বুধবার মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে দেখা করেন নকভি। যিনি ঝাড়খণ্ড থেকে সংসদের উচ্চকক্ষে প্রতিনিধিত্ব করতেন।
আরও পড়ুন: ওনার বাপ - মায়ের ঠিক নেই না কি? মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যেহেতু রাজ্যসভার সদস্যপদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাই আইন মোতাবেক নকভিকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হত। সংবিধান বিশেষজ্ঞ পিডিটি আচার্য বলেছেন, 'সাংসদ পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য মন্ত্রীদর হাতে ছয় মাস থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়ম তাঁদের জন্য কার্যকর হবে না। তাই তাঁদের পদত্যাগ করতে হবে।'
তবে নকভিকে কেন মনোনীত করেনি বিজেপি, তা নিয়ে বিভিন্ন কারণ উঠে আসছে। বিশেষত নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রিসভার একমাত্র মুসলিম মুখ ছিলেন নকভি। রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো, নকভির জন্য আরও বড় পদ ভেবে রেখেছে বিজেপি। তাঁকে উপ-রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানো হতে পারে। যে নির্বাচন আগামী ৬ অগস্ট হবে। তবে আবার অপর একটি মহলের বক্তব্য, নকভিতে ত্রিপুরা থেকে রাজ্যসভায় আনা হতে পারে। ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রী হিসেবে মানিক সাহা নির্বাচিত হওয়ার পর যে আসন ফাঁকা হয়েছে।