ফের একবার অ্যাটর্নি জেনারেল পদে তাঁকে বসাতে চেয়েছিল কেন্দ্র। প্রাথমিক ভাবে তাতে সম্মতিও জানিয়েছিলেন মুকুল রোহতগি। তবে আচমকাই তাঁর মনে জন্মায় ‘সংশয়’। আর এর জেরেই পিছু হটলেন মুকল রোহতগি। হিন্দুস্তান টাইমসকে এই বিষয়ে মুকুল রোহতগি বলেন, ‘আমি এই পদ গ্রহণ করলে অস্বীকার করেছি। কারণ আমার মনে এই বিষয়ে সংশয় জন্মেছিল।’ যদিও রোহতগি জানান, সরকার তাঁকে এই পদে নিয়োগ করার প্রস্তাব দেওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞ।
৩০ সেপ্টেম্বর বর্ধিত মেয়াদ শেষ হতে চলেছে বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপালের। এরপর ১ অক্টোবরে মুকুল রোহতগির দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা ছিল অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে। তবে এর আগে গতকাল তিনি এই পদ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। এর আগে ২০১৭ সালে তিনি এই পদ ছেড়েছিলেন। তখন কেকে বেণুগোপাল এই পদে আসেন। ফের একবার মুকুলকেই এই পদে বসাতে চেয়েছিল মোদী সরকার। তবে শেষ লগ্নে এসে তিনি পিছু হটলেন।
বিগত পাঁচবছর ধরে কেকে বেণুগোপাল কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে ছিলেন। যদিও ২০২০ সালেই তিনি তাঁর বার্ধক্যের কারণে তিনি দায়িত্ব থেকে নিষ্কৃতি চেয়েছিলেন। তবে তারপরও বাড়ানো হয়েছিল বেণুগোপালের মেয়াদ। এই আবহে ৩০ সেপ্টেম্বর বর্ধিত মেয়াদ সম্পন্ন হচ্ছে বেণুগোপালের। এরপরই নতুন অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা। তবে মুকুল রোহতগি এখন এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় তৈরি হয়েছে সংশয়।
রোহতগি এর আগে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল পদও সামলেছেন। এরপর ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে ছিলেন রোহতগি। পদ ছাড়ার পরও ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং জটিল বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার রোহতগির পরামর্শ নিয়েছিল বলে জানা যায়। রোহাতগি মুম্বাইয়ের গভর্নমেন্ট ল’ কলেজ থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছিলেন। আইনে স্নাতক হওয়ার পর তিনি যোগেশ কুমার সাভারওয়ালের অধীনে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে যোগেশ কুমার ভারতের ৩৬তম প্রধান বিচারপতি হন। ১৯৯৯ সালে বাজপেয়ী সরকারের আমলে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন রোহতগি।