বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন 'নিখোঁজ' বিধায়ক মুকুল রায়। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী বিগত কয়েকমাস ধরে বাংলার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তাঁকে দেখা যায়নি রাজনৈতিক ময়দানে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের একবার চর্চায় মুকুল রায়। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি হয়েছিলেন। পরে বিধানসভায় টিকিট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। অবশ্য নির্বাচনে জয়ের পরই ছেলেকে নিয়ে তৃণমূলে ফিরে এসেছিলেন। এহেন মুকুল রায় ফের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে দিল্লি গিয়ে হাজির হয়েছেন। (আরও পড়ুন: গরম কমবে, স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজবে একের পর এক জেলা, একনজরে আবহাওয়ার সর্বশেষ আপডেট)
এদিকে এতসব কাণ্ডের মাঝে মুকুলের ছেলে শুভ্রাংশু রায় অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁর বাবাকে অপহরণ করা হয়েছে। এই অভিযোগ পেয়ে দিল্লিতে হাজির হন রাজ্য পুলিশের কর্তারা। মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁরা দেখা করে কথা বলেন। যদিও মুকুল রায় ছেলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন, তিনি ভালো আছেন। স্বেচ্ছায় দিল্লি গিয়েছেন। এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে মুকুল রায়ের একটি অডিয়ো বার্তা। তাতে মুকুলকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'আমি তো বিজেপিতেই আছি। আমি বিজেপির বিধায়ক। অমিত ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার।'
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে আচমকাই রটে যায় যে মুকুল রায় নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। এই খবরে হইচই শুরু হয় বাংলার রাজনৈতিক মহলে। শুভ্রাংশু রায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে আসেন। পরে জানা যায়, মুকুল রায় সন্ধ্যার বিমানে দিল্লি গিয়েছেন। অভিযোগ ওঠে, তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কয়েকজন বিজেপি নেতা নাকি তাঁকে দিল্লি যেতে সাহায্য করেছেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার মুখ খোলেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু। শুভ্রাংশু দাবি করেন, তাঁর বাবা অসুস্থ, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁর ছেলে আরও যোগ করেন যে তাঁর বাবা যদি বিজেপিতে যোগ দেন তাহলে তিনি সুস্থ অবস্থায় সেই কাজ করবেন না।
এর আগে এক সংবাদমাধ্যমকে মুকুল রায় জানিয়েছিলেন, কখনও কখনও কাউকে না জানিয়েই কাজ করতে হয়। পাশাপাশি ছেলের 'নিখোঁজ ডাইরি'কে 'বাজে অভিযোগ' বলে আখ্যা দেন তিনি। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান মুকুল। এদিকে মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজের জন্য যে শুভেন্দু অধিকারী আদালতে গিয়েছেন, সেই তিনি এই সব ঘটনা প্রসঙ্গে বলছেন, 'মুকুল রায়কে নিয়ে নট ইন্টারেস্টেড'। আবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষও বলেন, 'মুকুল রায় লস্ট কেস'। এই আবহে রায় সাহেবের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, সেদিকেই তাকিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহল।