শিল্প ফিরছে সিঙ্গুরে । অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষি ও শিল্পের মেলবন্ধনে সিঙ্গুরে শিল্প পার্ক গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এই ঘোষণাকে বিশেষ আমল দিতে রাজি নন তাঁর একদা সহযোদ্ধা মুকুল রায়। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে আগামী সরকার ঠিক করবে যে ওই জমিতে কি করা হবে।
মুকুল রায় এদিন বলেন যে আগেই তিনি স্বীকার করেছেন যে সিঙ্গুরের আন্দোলন করে বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে বাংলার। এর ফলে বাংলা নির্জলা থেকে গিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। কর্মসংস্থান নিয়ে আজও রাজ্যে যে সমস্যা, সেটা টাটারা ন্যানো গাড়ির কারখানা করলে মিটত বলে মনে করেন তৎকালীন মমতার সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড মুকুল রায়। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বলেন, ' আগামীদিনে বাংলার নতুন সরকার আসছে, সেই সরকারই ঠিক করবে ওই জমিতে কী হবে।' ইন্ডাস্ট্রি শব্দটি বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায় বলে তিনি দাবি করেন অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি ঠিক কী, সেটা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবে না বলেই সেই শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই সিঙ্গুরে একটি শিল্প পার্ক গঠনের ঘোষণা করেন মমতা। বলেন, সিঙুরে কৃষি ও শিল্প হাত ধরাধরি করে চলবে। সেজন্য সেখানে ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমের উদ্যোগে তৈরি হবে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। এখান থেকে কৃষকরা নিজেদের ফসল বিক্রি, প্রক্রিয়াকরণ ও রফতানি করতে পারবেন। সেজন্য সিঙ্গুরে ১১ একর জমি ছোট ছোট প্লটে শিল্পপতিদের দেওয়া হবে। ছোট শিল্পপতিদের ১০ – ৩০ কাঠা ও বড় শিল্পপতিদের বড় জমি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। সেজন্য সিঙ্গুর স্টেশনের কাছে জমি চিহ্নিত করে ঘেরার কাজও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও সিঙ্গুরের চাষীদের জন্য সরকার কী কী করেছে, তার বিস্তারিত ফিরিস্তিও দেন তিনি।