'সংবিধান মেনেই দল ছেড়েছি। ' বিধানসভার স্পিকারের শোকজের জবাবে একথায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মেঘালয়ের দলবদলু বিধায়ক তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। কয়েকদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মেঘালয়ের ১২ জন বিধায়ক।
এতজন বিধায়ক দল ছেড়ে দেওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছিল মেঘালয়ের কংগ্রেস। এরপরেই বিধানসভার অধ্যক্ষ মেটবা লিঙ্গডোর কাছে দলবদলু বিধায়কদের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছিসেন কংগ্রেস। তার প্রেক্ষিতে বুধবার প্রত্যেক দলবদলু বিধায়ককে শোকজ করেন করেন অধ্যক্ষ।
প্রত্যেক দলবদলু বিধায়ক শোকজের জবাব বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে পেশ করেন। মুকুল সাংমা বলেন, '১০ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে মনগড়া গল্প তৈরি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।' তিনি জানান, তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন সংবিধান মেনেই।
মুকুল সামাং শুধু স্পিকারের শোকজের জবাবই দেননি, এই অভিযোগ নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে তিনি ছাড়েনি। তিনি বলেন,' কংগ্রেসে থেকে কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। সেখানে আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। তাই কর্মীদের বাঁচানোর জন্যই আমরা দলত্যাগ করেছি।' পাশাপাশি গোটা মেঘালয়ে তৃণমূলের পতাকা ভরে যাবে বলেও তিনি দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, মেঘালয়ে কংগ্রেসের ১৮ জন বিধায়ক ছিলেন। ১২ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই তা কমে দাঁড়িয়েছে ছয়জনে। তারপরেই সংবিধানের দশম তফশিল অনুযায়ী, ওই বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ করার আবেদন জানায় কংগ্রেস। দলবদলু বিধায়কদের মতে, মেঘালয়ে ক্রমেই শক্তি হারাচ্ছে কংগ্রেস। তারপরেও ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনওরকমের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে না। তাই নিজেদের এবং কর্মীদের বাঁচাতে তারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বাকি দুজন বিধায়ক চার্লস পিংগ্রোপ এবং শিটলাং পালের বিরুদ্ধে দ্রুত পিটিশন দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক আমপারিন লিঙ্গডো।