করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কায় টলে গিয়েছিল শেয়ার বাজার। তারপর শেয়ার বাজারে বেশ ভালো ফল করেছে একাধিক সংস্থা। দিয়েছে ভালো ‘রিটার্ন’। তেমনই একটি সংস্থা হল টাটা টেলিসার্ভিসেস (মহারাষ্ট্র) লিমিটেড। যা গত দেড় বছরে ৫,১৫০ শতাংশের বেশি ‘রিটার্ন’ দিয়েছে।
গত বছর ৩ এপ্রিল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (এনএসই) টাটা টেলিসার্ভিসেস (মহারাষ্ট্র) লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১.৮৫ টাকা। যা চলতি বছর ২৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ৯৭.২৫ টাকায় ঠেকেছে। অর্থাৎ এক বছর সাত মাসে বিনিয়োগকারীরা ৫,১৫০ শতাংশের বেশি ‘রিটার্ন’ পেয়েছেন।
টাটা টেলিসার্ভিসেস (মহারাষ্ট্র) লিমিটেডের শেয়ারের দামের ইতিহাস
গত পাঁচটি সেশনে টাটা টেলিসার্ভিসেস (মহারাষ্ট্র) লিমিটেডের শেয়ারের দাম ২১.৫ শতাংশ বেড়েছে। সব সেশনেই পাঁচ শতাংশের ‘ঊর্ধ্বসীমা’ ছুঁয়ে ফেলেছে। আবার মাসখানেক আগে সংস্থার প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৫৩ টাকা। যা এখন বেড়ে হয়েছে ৯৭.২৫ টাকা। অর্থাৎ গত এক মাসেই ৮৫ শতাংশ উত্থানের সাক্ষী থেকেছে। গত ছ'মাসে তো ৬০০ শতাংশের মতো বেড়েছে টাটা টেলিসার্ভিসেস (মহারাষ্ট্র) লিমিটেডের শেয়ারের দাম। এক বছর আগে প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৭.৪৫ টাকা। তার ফলে এক বছরে ১,২০০ শতাংশ উত্থান হয়েছে সেই টাটা টেলিসার্ভিসেস (মহারাষ্ট্র) লিমিটেডের শেয়ারের দাম।
বিনিয়োগের উপর প্রভাব
টাটা টেলিসার্ভিসেস (মহারাষ্ট্র) লিমিটেডের শেয়ারের দামের ইতিহাস অনুযায়ী, যদি কেউ এক সপ্তাহ আগে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে তিনি ১.২১ লাখ টাকা পাবেন। এক মাস আগে যদি কোনও বিনিয়োগকারী এক লাখ টাকা ঢেলে থাকেন, তাহলে এখন তাঁর হাতে আসবে ১.৮৫ লাখ টাকা। ছ'মাসে আগে এক লাখ টাকা লগ্নি করলে বর্তমানে সাত লাখ টাকা মিলবে। কেউ যদি এক বছর এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে তিনি পাবেন ১৩ লাখ টাকা। সেভাবেই কোনও বিনিয়োগকারী যদি গত বছর এপ্রিলে ওই টেলিকম সংস্থায় এক লাখ টাকা দিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি এখন ৫২.৫ লাখ টাকা পাবেন।