শেয়ার বাজারের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ধৈর্য। দীর্ঘকালীন সময় ধৈর্য বজায় রাখলে সাধারণত যে লাভবান হওয়া যায়, তার অন্যতম প্রমাণ হল আরতি ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার। যা গত ২০ বছরে ৬৫০ গুণ রিটার্ন দিয়েছে।
শেয়ার বাজারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০১ সালের ২৮ নভেম্বর ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জে (এনসিই) আরতি ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১.৫১ টাকা। যা চলতি বছরের ১৮ নভেম্বর বেড়ে ৯৭২.২ টাকায় ঠেকেছে। অর্থাৎ ২০ বছরে ৬৫০ গুণ বেড়েছে আরতি ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের দাম।
আরতি ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের ইতিহাস
গত ২০ বছরে রাসায়নিক সংস্থার শেয়ারে ৬৫,০০০ শতাংশ রিটার্ন মিলেছে। শেষ পাঁচ বছরে ৪৩৫ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন আরতি ইন্ডাস্ট্রিজের বিনিয়োগকারীরা। পাঁচ বছর আগে আরতি ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১৮১.২৮ টাকা। একইভাবে এক বছর আগে সংস্থার প্রতিটি শেয়ারের দর ৫৬৭ টাকা ছিল। গত ছ'মাসে সংস্থার প্রতিটি শেয়ারের দাম ৮৩২ টাকা থেকে বেড়ে ৯৭২.২ টাকা হয়েছে। যদিও একটা সময় আরও কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল সংস্থার শেয়ারের দাম। কিন্তু গত মাস তা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। গত এক মাসে আরতি ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিটি শেয়ারের দাম ১,০২১ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭২ টাকা।
বিনিয়োগের উপর প্রভাব
কেউ যদি এক মাস আগে আরতি ইন্ডাস্ট্রিজে এক লাখ বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে তিনি ৯৫,০০০ টাকা পাবেন। কারণ সেই সময় কমেছে সংস্থার প্রতিটি শেয়ারের দাম। যদি কেউ ছ'মাস আগে এক লাখ টাকা দিয়ে থাকেন, তাহলে চলতি বছরের নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের শেষে তাঁর হাতে আসবে ১.১৬ লাখ টাকা। এক বছর আগে সেই এক লাখ টাকাই বিনিয়োগ করলে ১.৭১ লাখ টাকা পাবেন। একইভাবে কেউ যদি আরতি ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারে পাঁচ বছর আগে এক লাখ টাকা ঢেলে থাকেন, তাহলে তিনি বর্তমানে পাবেন ৫.৩৫ লাখ টাকা। কেউ যদি ২০ বছর আগে আরতি ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারে এক লাখ টাকা বিনিযোগ করে সেই টাকা রেখে দেন, তাহলে এখন তিনি ৬.৫ কোটি টাকা পেয়ে যাবেন।