শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কুখ্যাত গ্যাংস্টার ছোটা রাজন ভর্তি হল দিল্লির এইমস হাসপাতালে। তাকে ভর্তি করল পুলিশ। খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছোটা রাজন এখন দিল্লির তিহার জেলে বন্দি ছিল। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, একদা দাউদের বিশ্বস্ত অনুচর ছোটা রাজন সাইনাসের মারাত্মক সমস্যায় ভুগছে। তার অস্ত্রোপচারও করা হতে পারে। আজ, শুক্রবার ১০ জানুয়ারি এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে জেলবন্দি মাফিয়া ডনকে। খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছোটা রাজন আগে ২০২১ সালে পেটের সমস্যা নিয়ে দিল্লি এইমসে ভর্তি হয়েছিল।
এদিকে ২০০১ সালের মে মাসে হোটেল ব্যবসায়ী জয়া শেট্টিকে খুনের ঘটনায় ২০২৪ সালেই মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত যাবজ্জীবনের সাজা দিয়েছে ছোটা রাজনকে। জয়ার হোটেলে ঢুকে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, তোলার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় খুন হতে হয়েছে তাঁকে। পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনায় সরাসরি যোগ রয়েছে ছোটা রাজনের। তখনই ইন্দোনেশিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২৪ সালে এই মামলায় যাবজ্জীবন হয় এবং ২০১৮ সালে সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে খুনের মামলাতেও যাবজ্জীবনের সাজা হয়েছে ছোটা রাজনের।
আরও পড়ুন: বাজেটের আগেই রাজ্যগুলিকে করের টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার, কত পেল বাংলা?
অন্যদিকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের দাপুটে মাফিয়া ডন ছোটা রাজন দাউদের ডান হাত ছিল। পরে দাউদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে হিসসা নিয়ে। রাজনের আসল নাম রাজেন্দ্র সদাশিব নিকলজে। রাজন দাউদের থেকে আলাদা হয়ে তৈরি করে নিজের গ্যাং। বাণিজ্যনগরী মুম্বই হলেও সেখানে আন্ডারওয়ার্ল্ডও আছে। যার দখল নিয়ে দীর্ঘদিন দাউদের সঙ্গে ছোটা রাজন গ্যাংয়ের টক্কর ছিল। তিন দশক অন্ধকার জগতের অন্যতম কিংপিন ছিল এই ছোটা রাজন। পুলিশের ধরা–ছোঁয়ার বাইরে ছিল মাফিয়া ডন ছোটা রাজন। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ধরা পড়ে যায় ছোটা রাজন। তাকে নিয়ে আসা হয় ভারতে। তারপর থেকে একাধিক মামলা চলেছে রাজনের বিরুদ্ধে। এমনকী কয়েকটি মামলায় সাজা ঘোষণাও হয়ে গিয়েছে।
এছাড়া মুম্বইয়ের অন্যতম হাইপ্রোফাইল হত্যাকাণ্ড ছিল ট্রেড ইউনিয়ন লিডার দত্তা সামন্ত খুন। ওই খুনের ঘটনার মূলচক্রী হিসেবে নাম উঠে এসেছিল ছোটা রাজনের। যদিও ২০২৩ সালে বিশেষ সিবিআই আদালতে বেকসুর খালাস হয় ছোটা রাজন। অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের সূত্রে খবর আসে ইন্দোনেশিয়ার পুলিশের কাছে। বলা হয়েছিল মোহন কুমার নামে এক খুনে অভিযুক্ত পালিয়ে এসে বালিতে আশ্রয় নিয়েছে। পরে দেখা যায় ওই মোহন কুমার আসলে ছোটা রাজন। দ্রুত অভিযান চালিয়ে ছোটা রাজনকে ধরে বালির পুলিশ।