বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > POCSO Case: ‘‌নিজের এত দর বাড়াচ্ছিস কেন তুই?’, কিশোরীর ঠোঁটে টাকা ঘসে জেলে যুবক

POCSO Case: ‘‌নিজের এত দর বাড়াচ্ছিস কেন তুই?’, কিশোরীর ঠোঁটে টাকা ঘসে জেলে যুবক

এই আচরণ শ্লীলতাহানি এবং যৌন হেনস্থার সমান। প্রতীকী ছবি।

১৬ বছরের এক কিশোরী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৭ সালে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। তবে ২০১৮ সালে এই মামলায় জামিন পেযে যায় ওই যুবক। তখন অন্য এক অপরাধে আবার গ্রেফতার করা হয় ওই অভিযুক্ত যুবককে। তখন চিৎকার করলেও বাজারের কেউ আসেননি।

একদিকে ‌কিশোরীর স্পর্শ করা অন্যদিকে শরীরের দাম নির্ধারণ করতে কটূক্তি করার জেরে তাঁর শ্লীলতাহানি এবং যৌন হেনস্থা হয়েছে বলে রায় দিল মুম্বইয়ের বিশেষ পকসো আদালত। নির্যাতন করা ৩২ বছরের যুবক ঠোঁটে একশো টাকার নোট ঘষতে ঘষতে ‘দর বাড়ানো’—এসব মন্তব্য করেছিল। তাই ওই যুবকের বিরুদ্ধে এমনই রায় দিয়ে তাকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিল মুম্বইয়ের বিশেষ পকসো আদালত।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের ১৬ বছরের এক কিশোরী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৭ সালে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। তবে ২০১৮ সালে এই মামলায় জামিন পেযে যায় ওই যুবক। তখন অন্য এক অপরাধে আবার গ্রেফতার করা হয় ওই অভিযুক্ত যুবককে। তবে এই ঘটনা মুম্বইয়ে ঘটেছিল কিনা সেটা জানা যায়নি।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, কিশোরী অভিযোগ করেছিল, রাস্তায় সব সময়ই তার পিছু নিত ওই যুবক। কলেজে যাওয়ার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে শিস দিত। ২০১৭ সালে রাত ৮টা নাগাদ বাজারে গিয়েছিলেন তিনি। তখন যুবকটি আচমকা তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায়। আর মুখের সামনে একটা ১০০ টাকার নোট তাঁর ঠোঁটে ঘষে দিয়ে বলেন, ‘কেন এমন করছিস? নিজের এত দর বাড়াচ্ছিস কেন তুই?’ তখন চিৎকার করলেও বাজারের কেউ আসেননি। বাড়িতে ফিরে মাকে গোটা ঘটনাটি বলে সে। ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন কিশোরী।

আদালত ঠিক কী বলেছে?‌ আদালত সূত্রে খবর, এই মামলায় আদালতে উঠলে বিচারকের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্ত যুবকের এই আচরণ শ্লীলতাহানি এবং যৌন হেনস্থার সমান। তাছাড়া ওই কিশোরীর বয়ানের সঙ্গে পড়শির কথার মিল রয়েছে। তাই এই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সশ্রম কারাদণ্ড দিচ্ছে আদালত। এই মামলায় রায় দেওয়ার সময় বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক এসসি যাদব বলেন, ‘এই ধরনের অপরাধের মাত্রা নির্ধারণ করে উপয়ুক্ত সাজা দেওয়াই আদালতের কর্তব্য।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন