প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছিল ভুয়ো কোভিড ইমিউনিটি পাউডার। আয়ুর্বেদের এই ওষুধ বিক্রি করার অভিযোগে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হল তিনজনকে। জানা গিয়েছে এই জালিয়াতি করতে ধৃতরা দুই নাইজেরিয়ান নাগরিকের সাহায্য পেয়েছিল। ধৃত তিন ব্যক্তির নাম, মোহাম্মদ হুসেন শেখ (৫১), ত্রিজুগিলাল কুরমি (৪৩) এবং সেলিম শেখ (৩৯)।
জানা গিয়েছে, নাফিস খান নামক এক ব্যক্তি অভিযোগ জানিয়ে দাবি করেন, অর্চনা কুমার নামক এক মহিলা মোহাম্মদ হুসেন শেখের সঙ্গে পরিচয় করান তাঁর। পরে শেখকে এই ওষুধের জন্য ১.৩৯ লক্ষ টাকা দেন নাফিস খান। এরপরই নাফিস খানের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তিন ব্যক্তিকে।
ঘটনার প্রেক্ষিতে মুম্বইয়ের চেম্বুর থানার পুলিশের বক্তব্য, 'ধৃত তিন ব্যক্তি বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ১৬টি অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। ভাড়ার কাগজ দেখিয়ে এই সব অ্যাকাউন্ট খোলেন তারা। আমরা এখনও পর্যন্ত যেসব অ্যাকাউন্ট সিল করেছি, তাতে ৮.২৫ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে।'
তদন্ত যত এগিয়েছে, তত বেশি জালিয়াতির ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রের কোলাপুর এবং শোলাপুরেও মানুষদের ঠকিয়েছে ধৃতরা। শুধু মহারাষ্ট্র নয়, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, কর্নাটক এবং গুজরাতেও ছড়িয়ে এই জালিয়াতি চক্র। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও ৫ জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।