পুলিশ পরিচয় দিয়ে একের পর এক সাইবার প্রতারণার অভিযোগ। বিপুল টাকা প্রতারণার অভিযোগ এই চক্রের বিরুদ্ধে। এবার তাদের পান্ডাকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ। বুধবারএক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই চক্রের মূল মাথা ১২ ক্লাস পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। সে তার অ্য়াকাউন্টে অন্তত ৫ কোটি টাকা করে প্রতিদিন লেনদেন করেছে।
সেই মাস্টারমাইন্ডের নাম শ্রীনিবাস রাও দাদি। বয়স ৪৬ বছর। পড়াশোনার গন্ডি বেশিদূর নয়। কিন্তু টেকনিকাল দিকে একেবারে মারকাটারি জ্ঞান। বাঙ্গুর নগর থানা তাকে হেফাজতে নিয়েছে। হায়দরাবাদের একটা হোটেল থেকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
দাদি সহ পুলিশ চক্রের আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। থানের পাশাপাশি কলকাতা থেকেও গ্রেফতার করা হয়েছে চক্রের লোকজনকে।
এদিকে এই চক্রের লোকজন নানা ধরনের সাইবার প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। তারা পুলিশ আধিকারিক পরিচয় দিয়ে নানা প্রতারণামূলক কাজ করত বলে অভিযোগ। কোটি কোটি টাকার প্রতারণার সঙ্গে তারা যুক্ত। এনিয়ে নানা অভিযোগ পুলিশের কাছে এসেছিল। এরপরই পুলিশ নড়েচড়ে বসে। পরে রীতিমতো গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ একে একে তাদের গ্রেফতার করে। চক্রের মূল মাথাকে পুলিশ জেরা করছে। তবে তার প্রযুক্তিগত জ্ঞান দেখে হতবাক পুলিশ কর্তারাও।
এদিকে কলকাতা থেকে এর আগেও সাইবার চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। সাইবার থানার পুলিশদের ঘুম উড়িয়ে দেয় এই জামতাড়া গ্য়াং। নানা অনলাইন কারসাজিতে অভ্যস্ত। কথার ছলে ভুল বুঝিয়ে হাজার হাজার টাকা ফাঁকা করে দিতে এদের জুড়ি মেলা ভার। একাধিক জনকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। কিন্তু অপরাধের শেষ হয় না। তবে এবার সেই জামতাড়া গ্যাংয়ের তিন ভাইকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এরাই নাকি অপরাধের কলকাঠি নাড়ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের একটি অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ এই জামতাডা় ভাইয়ের সন্ধান পায়। টালিগঞ্জের কবীর রোডের বাসিন্দা এক ব্যক্তির কাছে সিইএসসি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে একটি ফোন আসে। সেখানে বলা হয়েছিল একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। সেটার মাধ্যমে বিদ্যুতের বিল জমা দিতে হবে। আর সেটা না করা হলে বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হবে। সেই কথা শুনে আর দেরি করেননি ওই ব্যক্তি। তিনি তার মোবাইলে অ্যাপটি ডাউনলোড করে নেন। আর অ্যাপ ডাউনলোড করতেই তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। এরপর আর দেরি করেননি তিনি। তিনি থানায় এনিয়ে অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশ তদন্তে নামে। এবার বড় সাফল্য পেল মুম্বই পুলিশ।