গণেশপুজোর ১০ দিন করোনাভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই ও জনমানসে সচেতনতা গড়ে তুলতে মুম্বইয়ের গণেশ মণ্ডপগুলি ৪০০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ১০ দিনব্যাপী গণেশ উৎসব, সে সময় এই টাস্ক ফোর্সের মাধ্যমে নানান সচেতনতামূলক কার্যকলাপ আয়োজিত হবে।
দ্য বৃহন্মুম্বই সার্বজনিক গণেশ উৎসব সমন্বয় সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, অতিমারী মোকাবিলায় তারা গণেশ পুজোর অনলাইন দর্শন, পুজোমণ্ডপে সামাজিক দূরত্ববিধি সুনিশ্চিত করবে। এমনকি যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগ ও প্রাণায়ামের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্যও নানান কর্মসূচি গ্রহণ করবে তারা। মুম্বইয়ের ১২,৫০০টি গণেশ মণ্ডপ এই সমিতির অধীনে রয়েছে। কোনও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে কী কী পদক্ষেপ করা উচিত, সে বিষয়েও সাহায্য করবেন টাস্ক ফোর্সের স্বেচ্ছাসেবীরা।
সমন্বয় সমিতির সভাপতি নরেশ দহিভাবকার জানিয়েছেন, পুজোমণ্ডপে সামাজিক দূরত্ববিধি ও অন্যান্য নিয়মাবলী ঠিক ঠিক পালিত হচ্ছে কি না, তা দেখাশোনার দায়িত্ব রয়েছে এই স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর, এর ফলে পুলিশের ওপর থেকেও চাপ কমানো সম্ভব হবে। ২৮ থেকে ৩৫ বছর বয়েসি স্বেচ্ছাসেবীরা আবার নিজেদের এলাকায় নানান সুরক্ষাবিধি সম্পর্কে সচেতনতারও প্রচার করবেন।
গণেশ উৎসবের সময় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ‘অতিরিক্ত সাবধানতা’ অবলম্বনের কথা বলেছেন। জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে, উৎসবের সময় অত্যধিক ভিড় জমতে না-দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বুধবার সর্বোচ্চ ১৩,১৬৫টি পজিটিভ কোভিড রোগীর সন্ধান পাওয়া যায় মহারাষ্ট্রে, যা রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যাকে ৬,২৮,৬৪২-এ পৌঁছে দেয়। শুধু মুম্বইতেই ১১৩২টি নয়া কেসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যে একদিনে ৩৪৬ জনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে মুম্বইয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের।