কয়েকদিন আগেই ১ হাজার ৩৫০ কিলোমিটার বিস্তৃত দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়েকে বিশ্বের দীর্ঘতম হাইওয়ে হিসাবেও চিহ্নিত করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি। প্রধানমন্ত্রীর 'নিউ ইন্ডিয়া'-র অধীনে দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয় প্রকল্পে সিলমোহর পড়ে ২০১৮ সালে এবং ২০১৯ সালের মার্চ এই সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছিল। মন্ত্রী জানিয়েছেন আগামী বছরের মার্চ মাসেই এই এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ হয়ে ব্যবহারযোগ্য হয়ে যাবে। ৩২ মাসে এই দীর্ঘ প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়াকেও 'রেকর্ড' হিসেবে উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এই এক্সপ্রেস ওয়ে তৈরি করতে কেন্দ্র সরকারের মোট খরচ হচ্ছে ৯৮ হাজার কোটি টাকা। দিল্লি থেকে ফরিদাবাদ, সোহনা হয়ে জেওয়ার বিমানবন্দর হয়ে মুম্বইয়ের জওহরলাল নেহরু বন্দরে এই এক্সপ্রেসওয়ে পৌঁছানোর কথা। যদিও সম্প্রতি সরকার পরিকল্পনা করছে যাতে রাস্তাটিকে মুম্বইয়ে দক্ষিণের নারিমান পয়েন্ট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায়। এই রাস্তা নির্মাণ হয়ে গেলে অনেকটাই কমে যাবে যাত্রার সময়। আগে যেই ট্রাক মুম্বই থেকে দিল্লি পৌঁছাত ৪৮ ঘণ্টায় তার লাগবে ২৪ থেকে ২৬ ঘণ্টা। এদিকে যেই গাড়িকে মুম্বই থেকে দিল্লি পৌঁছতে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা লাগত, সেই যাত্রার সময় নেমে আসবে ১২-১৩ ঘণ্টায়।
দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়েতে ৯৩টি স্থানে এটিএম, হোটেল, খুচরো দোকান, ফুড কোর্ট, বৈদ্যুতিক যানবাহনের চার্জিং স্টেশন এবং ফুয়েল স্টেশনের সুবিধা রয়েছে। এটি ভারতের প্রথম এক্সপ্রেস ওয়ে হবে যেখানে দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের জন্য প্রতি ১০০ কিলোমিটারে হেলিপ্যাড এবং সম্পূর্ণ সজ্জিত ট্রমা সেন্টার থাকবে। তাছাড়া দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ে একটি পরিবেশবান্ধব এক্সপ্রেস ওয়ে হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রায় ২ মিলিয়ন গাছের আচ্ছাদন থাকবে এই রাস্তার দুই ধারে। প্রতি ৫০০ মিটারে বৃষ্টির জল সংগ্রহের ব্যবস্থাও থাকবে।