মধ্যপ্রদেশের টিকামগড় এলাকায় ভয়াবহ ঘটনা। ছেলের হাতে খুন হয়েছেন মা।অভিযোগ এমনটাই। কারণ ছেলের মনে হত, মা তাকে ভালোবাসেন না। এরপরইসে মাকে খুন করে বলে অভিযোগ।এরপর সে পুলিশকে খবরও দিয়েছিল। সে পুলিশকে জানিয়েছিল মাকে মেরে ফেলেছি।
অভিযুক্তের বয়স ১৬ বছর। সে তার বাবার লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক দিয়ে মাকে খুন করে বলে অভিযোগ। সে পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। পুলিশকে জানিয়েছে, মা আমায় ভালোবাসত না। সেকারণে গুলি করে মেরে ফেলেছি। কিশোরের বয়ান শুনে হতবাক পুলিশ।
মৃতের নাম স্বপ্না রজক। তিনি ভগৎনগর কলোনিতে সন্তান, স্বামীকে নিয়ে থাকতেন। ওই কিশোর ক্লাস ১১এ পড়ে। আপাতত তাকে পুলিশ আটক করেছে। তবে এই খুনের পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
১২ বোরের রাইফেল দিয়ে সে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এরপর তার মা লুটিয়ে পড়েন। সেই সময় তার বাবা বাড়িতে ছিলেন না। পরে কিশোর পুলিশের কাছে ফোন করে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। পুলিশ গোটা ঘটনায় তদন্তে নেমেছে। অন্য কেউ এই ঘটনায় যুক্ত কি না সেটা দেখা হচ্ছে।
এদিকে ওই নাবালকের বাবা নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। সেকারণেই তার লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক রয়েছে। সেই বন্দুক দিয়েই গুলি করে ওই কিশোর। বাবার নাম রমেশ রজক।
তার দুই ছেলে।মঙ্গলবার তিনি গ্রামে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন না। সেই সময় তার নাবালক সন্তান বন্দুক দিয়ে মাকে নিশানা করে গুলি চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
এরপর সে ১০০ ডায়ালে ফোন করে। সে পুলিশকে জানায় মাকে মেরে ফেলেছি। এরপর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখান থেকে মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে। সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ওই কিশোর পুলিশকে জানিয়েছে, মা আমায় ভালোবাসত না। মাঝেমধ্যেই মা আমায় মারত সেকারণেই মাকে গুলি করে মেরে দিয়েছি। এদিকে স্থানীয়দের দাবি, ওই কিশোরের কিছু মানসিক সমস্যা রয়েছে। মাঝেমধ্যে সে মাদক সেবন করত। তার জেরে সে এই কান্ড ঘটিয়েছে কি না সেটা দেখা হোক।