কেরালায় গর্ভবতী হস্তিনীকে নৃশংস হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানালেন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। এই জঘন্য অপকীর্তি ‘ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী’ মন্তব্য করে তিনি দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বুধবার জাভড়েকর জানিয়েছেন, ‘কেরালায় একটি হাতিকে হত্যার ঘটনা ভয়ংকর, নিষ্ঠুর এবং ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী। এই কাজ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা ইতিমধ্যেই শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। দোষীদের ধরার পরে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।’
আনারসের ভিতরে পটকা লুকিয়ে হস্তিনীর মুখে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় গত কয়েক দিন যাবত তোলপাড় গোটা দেশ। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিল্পপতি রতন টাটা থেকে শুরু করে জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী, জাতীয় ক্ররিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি, বলিউড ও টলিউড তারকাদের মতো বিশিষ্টরা। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুষ্কর্মের প্রবল নিন্দা করে অসংখ্য পোস্টে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
ঘটনার জেরে টুইট করে দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও। তিনি জানিয়েছেন, ‘পালাক্কাড জেলায় এক গর্ভিনী হাতির মর্মান্তিক মৃত্যুতে অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাই, আপনাদের দুশ্চিন্তা বিফলে যাবে না। সুবিচার মিলবেই।’
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে তিন সন্দেহভাজনকে ঘিরে হস্তিনী হত্যার অনুসন্ধানের কাজ চলেছে। জেলাশাসক ও জেরলা পুলিশ অধিকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরেজমিনে তদন্ত করছেন। পাশাপাশি, সাম্প্রতিক কালে বন্যপ্রাণের সঙ্গে মানুষের সংঘাত বাড়র বিষয়টি নিয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।
গত ২৭ মে কেরালার মাল্লাপুরমে সাইলেন্ট ভ্যালি অভয়ারণ্যের ভিতরে মানুষের নির্মমতার শিকার হয় বছর পনেরোর গর্ভিনী হাতিটি। বিস্ফোরণে তার জিভ, তালু, দাঁত, দুই চোয়াল মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে ময়না তদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে।
গুরুতর আহত হয়েও হাতিটি কাছাকাছি লোকালয় বা শস্যখেতে কোনও ক্ষতি না করে জঙ্গলের জলাশয়ের মধ্যে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। সেখানে দাঁড়ানো অবস্থাতেই তার মৃত্যু হয়।