অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড জানিয়েছে তারা জ্ঞানবাপী মসজিদের মামলায় একটি আইনি কমিটি গড়তে চলেছে। গোটা মামলা পর্যালোচনা করবে সেই কমিটি। আদালতের সাম্প্রতিক রায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির 'প্লেসেস অফ ওয়ারশিপ অ্যাক্ট' লঙ্ঘন হয়েছে কী না তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।
বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ ইস্যুতে ক্রমেই চড়ছে পারদ। ইতিমধ্যেই স্থানীয় কোর্টের নির্দেশে সেখানে একটি বিশেষ এলাকা সিল করা হয়েছে। মসজিদ চত্বরের ভিতরে পুকুর এলাকায় শিবলিঙ্গ রয়েছে বলে দাবি উঠেছে। সে নিরিখেই আদালতের এই সিল করার সিদ্ধান্ত। এদিকে ঘটনা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে মুসলিম ল বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
এদিন সকালে মুসলিম ল বোর্ডের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'মুসলিমরা কোনও মতেই মসজিদের অপবিত্রতা মেনে নেবে না। নৈরাজ্য চলছে সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলির, আদালতও হতাশ করছে নীপিড়িতদের।' এদিকে এই ঘোষণার পরই অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড জানিয়েছে তারা জ্ঞানবাপী মসজিদের মামলায় একটি আইনি কমিটি গড়তে চলেছে। গোটা মামলা পর্যালোচনা করবে সেই কমিটি। আদালতের সাম্প্রতিক রায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির 'প্লেসেস অফ ওয়ারশিপ অ্যাক্ট' লঙ্ঘন হয়েছে কী না তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। বোর্ড সাফ জানিয়েছে মসজিদ কর্তৃপক্ষকে আইনি সহায়তার জন্য যাবতীয় সাহায্য তারা করতে রাজি। বিষয়টি নিয়ে তারা দেশভর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে।
বোর্ডের তরফে এক্সিকিউটিভ সদস্য কাশিম রসুল ইলিয়াস বলেছেন, তাঁরা চান এই ইস্যুতে সরকার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করুক। এমনকি মুসলিম ল বোর্ড জানিয়েছে, এমন এক ঘটনায় সরকারের নীরবতা সমর্থনযোগ্য নয়। কোনও মতেই এই নীরবতা মেনে নেওয়া হবে না। যদিও বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, সারা দেশের মুসলিমরা যাতে শান্তি বজায় রাখেন তার বার্তা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের এক পিটিশন বারাণসী আদালতে এই ইস্যুতে ফাইল হয়। এরপর নতুন করে এই মামলা নিয়ে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।