হিন্দু যুবকের সঙ্গে বিয়ে করেছেন মুসলিম যুবতী। সেজন্য রাজস্থানের ভরতপুরে ওই দম্পতিকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল যুবতীর বাবার বিরুদ্ধে। যুবকের দাবি, কোনওক্রমে তাঁদের প্রাণ বেঁচে গিয়েছে। পুলিশের কাছে সুরক্ষার প্রদানের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
‘হিন্দুস্তান টাইমস’ গ্রুপের ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, নরেন্দ্র সোনির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ভরতপুরের বাসিন্দা নাগমা। বাড়ি থেকে পালিয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি আইনি বিয়ে সারেন তাঁরা। অভিযোগ, বিয়ের খবর জানার পর থেকেই নাগমার পরিবারের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন দম্পতি। ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হতে থাকে। খুন করারও চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: সমাজকে অবশ্যই ভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের বিয়ে মেনে নেওয়া শিখতে হবে : সুপ্রিম কোর্ট
সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সরু রাস্তা দিয়ে এক যুবতী প্রাণপণে ছুটছেন। কিছুটা পিছনে এক যুবক আছেন। তাঁদের পিছনে ধাওয়া করছে একটি অটো। তারইমধ্যে একটি গলির মধ্যে ঢুকে যান ওই যুবতী। অটোটি গলির মুখে দাঁড়িয়ে যায়। ওই যুবক উলটোদিকে দৌড়াতে থাকেন। অটো থেকে নেমে এক ব্যক্তি ওই যুবককে ধাওয়া করেন। কিছুক্ষণ পর ওই ব্যক্তি অটোর কাছে ফিরে আসেন এবং অটোয় উঠে চলে যান। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে ভিড় জমে গিয়েছে।
এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিসিটিভি ফুটেজে যে ব্যক্তিকে অটোয় দেখা ছিলেন, তিনি আদতে ওই যুবতীর বাবা। দম্পতিকে প্রাণে মারার চেষ্টা করছিলেন তিনি। যুবকের অভিযোগ, অটো দিয়ে দম্পতিকে পিষে মেরে ফেলার চেষ্টা করছিলেন নাগমার বাবা। লাগাতার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন যুবক।
তারইমধ্যে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের কাছে নাগমার আর্জি, 'আমি মুসলিম। কিন্তু হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করেছি। সেজন্য বাবা এবং ধর্মের লোকজনের চোখে শত্রু হয়ে গিয়েছে আমি। ওঁরা আমাদের দু'জনকে মেরে ফেলতে চান। আমি অন্ত্বঃসত্ত্বা। আমার পেটে থাকা সন্তান এবং আমার স্বামীর প্রাণের জন্য সুরক্ষার বন্দোবস্ত করা হোক। '