অসমে মুসলিম জনসংখ্য়া নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।জনসংখ্যার হিসাব দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বিশেষ মন্তব্য করেছেন। বুধবার অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, মুসলিম জনসংখ্য়া এই রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছে ৪০ শতাংশে। জনসংখ্য়ার এই ম্যাপে যে পরিবর্তন হচ্ছে তা একটা বড় ব্যাপার।
ঝাড়খণ্ডের ভোটের কো ইনচার্জ হলেন অসমের মুখ্য়মন্ত্রী। ঝাড়খণ্ডে গিয়ে অসমের মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, আমি অসম থেকে এসেছি। আমার কাছে জনসংখ্যা সম্পর্কিত এই যে পরিবর্তন সেটা একটা বড় ব্যাপার। এখন আমার রাজ্য়ে মুসলিম জনসংখ্যা ৪০ শতাংশ। ১৯৫১ সালে এটাই ছিল ১২ শতাংশ। এটা আমার কাছে কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয়, এটা মরণ-বাঁচনের ব্যাপার। সাংবাদিকদের তিনি একথা জানিয়েছেন।
এদিকে অসমের মুখ্য়মন্ত্রী এই বক্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্য়েই নানা চর্চা চলছে। মুসলিমদের সংখ্য়া ক্রমশ বাড়ছে ও তা নিয়ে অসমের মুখ্য়মন্ত্রীর উদ্বেগকে ঘিরে ইতিমধ্য়েই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তিনি নিজেই এনিয়ে স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন।
এর আগে তিনি বলেছিলেন ঝাড়খণ্ডের কিছু জায়গায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর সংখ্য়া ক্রমশ বাড়ছে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, এবার ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটের ইস্তেহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়ন করতে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও একহাত নেন তিনি। ঝাড়খণ্ডকে মিনি বাংলাদেশ তৈরির চেষ্টা করছেন । অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করছেন, আদিবাসী মেয়েদের বিয়ে করছেন জমি দখল করার জন্য। আমি ঝাড়খণ্ডে একটা আইন তৈরির করার জন্য় বলব যেখানে আদিবাসী মেয়েদের বিয়ে করতে পারবেন না অনুপ্রবেশকারীরা।
তিনি জানিয়েছেন, এই সরকারের আমলে কোথাও কোনও উন্নতি হয়নি ঝাড়খণ্ডে।
অসমের মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রাজ্যে তৈরি হয়নি। উন্নয়নও থমকে গিয়েছে। যুবকরা কাজ পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, এবার লোকসভা ভোটে এনডিএ ১৪টি আসনের মধ্য়ে ৯টি আসন পেয়েছে। ৫১টি বিধানসভায় এগিয়ে ছিল তারা।