গত ২২শে নভেম্বর থেকে ৬দিন ধরে বিহারের মজফ্ফরপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল ছানি অপারেশনের শিবির। সেই শিবিরে অনেকেরই ছানি অপারেশন হয়। এদিকে ছানি অপারেশনের পর থেকেই সংক্রমণ শুরু হয় একাধিকজনের। ব্যান্ডেজ সরানোর পর থেকে রোগীদের অনেকেই বলতে শুরু করেন যে চোখে ছানি অপারেশন হয়েছে সেই চোখে দেখতে পাচ্ছেন না। আর তারপরই শুরু হয় আসল বিপত্তি। চিকিৎসকদের একাংশ পরামর্শ দেন অপারেশন করা চোখটি বাদ দিতে হবে। এদিকে এরপর থেকে মুজফ্ফরপুরের সরকারি হাসপাতালে যান রোগীদের একাংশ। মূলত চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে ক্ষতিগ্রস্ত চোখ তোলার জন্য তাঁরা সরকারি হাসপাতালে যান। আর তখনই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
জেলা শাসক প্রণব কুমার দাবি করে,ন মজফ্ফরপুরের এক চোখ বিশেষজ্ঞ গাইডলাইন না মেনে একই দিনে অনেকের অপারেশন করেছিলেন। এদিকে গাইড লাইন অনুসারে একদিনে একজন সার্জেন ১২জনের বেশি চোখ অপারেশন করতে পারেন না। সেদিন ৬৫-৬৬জনের ছানি অপারেশন হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের দাবি ২২-২৮শে নভেম্বরের মধ্যে ৩২৮জনের ছানি অপারেশন হয়েছে। ওই একই চিকিৎসক সকলের অপারেশন করেছেন। এদিক চিকিৎসকদের টিম ও বেসরকারি হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে জেলা প্রশাসন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও এনিয়ে বিহার সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। এদিকে সূত্রের খবর, ৬জনে রোগীর অবস্থা ভালো নয়। তাদের চোখ বাদ দিতে হতে পারে।