নাসার মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। সেই জুন মাস থেকে তিনি রয়েছেন মহাকাশে। এদিকে সম্প্রতি তাঁর একটি ছবি সামনে এসেছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল বেশ রোগা হয়ে গিয়েছেন তিনি। গাল বসে গিয়েছে। তবে এবার তাঁর সেই স্বাস্থ্য নিয়ে যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলেছেন সুনীতা নিজেই। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশনে যখন এসেছিলাম তখন আমার যা ওজন ছিল বর্তমানে সেটাই রয়েছে।
আসলে সেই যে ছবিটা সামনে এসেছিল তারপর থেকেই নানা চর্চা শুরু হয়ে যায়। সেই ছবিতে তাঁকে বেশ দুর্বল লাগছিল। মনে করা হচ্ছিল তাঁর ওজন কমছে। তিনি দুর্বল হয়ে গিয়েছেন। ১৫০ দিন তিনি মহাকাশে রয়েছেন। তার জেরে তাঁর শরীর দুর্বল হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছিল।
এদিকে একটি ভিডিয়ো ইন্টারভিউতে সুনীতা জানিয়েছেন, আমার মনে হয় আমার শরীর সামান্য বদলে গিয়েছে কিন্তু আমার ওজন একই আছে।
তিনি জানিয়েছেন, এখানে অনেক কিছু পরিবর্তন এসেছে। তবে এটা বেশ মজার। তবে কিছু গুজব ছড়িয়েছিল বলে শুনেছি, যে আমার ওজন কমে গিয়েছে না আমার ওজন ঠিক আগের মতোই আছে। ….বুচ আর আমি এখানে আসার আগে একই পদ্ধতিতে ওজন করেছিলাম।
এদিকে সুনীতা ও ব্যারি বুচ দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে স্পেস স্টেশনে রয়েছেন। ৬ জুন তারা স্পেস স্টেশনে গিয়েছিলেন। তারা একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন। হিলিয়াম লিক হয়েছিল। প্রযুক্তিগত নানা সমস্যা হয়েছিল। স্টারলাইনার স্পেসক্রাফ্ট যেটাতে তারা যাচ্ছিলেন তাতে নানা সমস্যা দেখা গিয়েছিল।
এদিকে ২৪শে অগস্ট নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ওই দুই মহাকাশচারীকে এখনই ক্যাপসুলে করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। স্পেস এক্সে তাদের বাড়ি ফেরাতে গেলে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
তবে এরপরেও প্রশ্ন উঠছে ছবিতে যেরকম দুর্বল দেখা যাচছিল সুনীতাকে সেটা কেন?
এনিয়ে সুনীতা জানিয়েছেন, শরীরে তরলের কিছু এদিক ওদিক হয়েছিল। তার জেরে শরীরটা ওইরকম লাগছিল।
তিনি বলেন, এই ফ্লুইডের জন্য অনেক সময় মাথাটা বড় দেখায়। তবে আপনারা জানেন যে আমরা কয়েক মাস ধরেই মহাকাশে রয়েছি। আমাদের এখানে ট্রেডমিল আছে। এখানে ওয়েল লিফটিং যন্ত্রপাতিও রয়েছে। তিনি বলেন, আমার থাই কিছুটা বড়, আমার শরীর কিছুটা বড়… আমার মনে হচ্ছে শরীরে সামান্য কিছু বদল এসেছে কিন্তু আমার ওজন একই আছে।