‘আমার গর্ব অটুট রয়েছে। আমার প্রতি সরকারের নেতিবাচক মনোভাব আমার স্বাধীনতার শংসাপত্র।’ রাজস্থান হাইকোর্টের চিফ জাস্টিস অখিল কুরেশি শনিবার অবসর গ্রহণ করেন। তার আগে একথা বলেন তিনি। তিনি বলেন,' সম্প্রতি একজন প্রাক্তন মুখ্য বিচারপতি তাঁর জীবনী লিখেছিলেন। বিচারবিভাগীয় মতামতের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশের চিফ জাস্টিস থেকে ত্রিপুরার চিফ জাস্টিস হিসাবে আমাকে নিয়োগ দেওয়ার সময় কিছু সুপারিশ পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন। মিডিয়াতে তেমনটাই বেরিয়েছিল।' আসলে প্রাক্তন চিফ জাস্টিস রঞ্জন গগৈ তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, একাধিক রায়ের জেরে জাস্টিস কুরেশিকে মধ্যপ্রদেশের চিফ জাস্টিস হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
এদিকে রাজস্থান হাইকোর্টের যোধপুর বেঞ্চের উদ্যোগে তাঁর ফেয়ারওয়েল স্পিচে প্রধান বিচারপতি এদিন কিছুটা আবেগবিহ্বল হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক আদালতের বিচারক হিসাবে নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করা আমার কর্তব্য। এটিকে আমি আমার স্বাধীনতা সার্টিফিকেট বলে মনে করি।’ এদিকে ২০১৮ সালে শোনা গিয়েছিল বোম্বে হাইকোর্ট থেকে মধ্যপ্রদেশের চিফ জাস্টিস হিসাবে কুরেশিকে নিয়োগ দিতে রাজি ছিল না সরকার। এরপর তাঁকে গুজরাত হাইকোর্টে পাঠানো হয়। শেষ পর্যন্ত কলেজিয়ামের সিদ্ধান্ত অনুসারে তাঁকে ত্রিপুরা হাইকোর্টে চিফ জাস্টিসের চেয়ারে বসানো হয়। সেখানে মাত্র চারজন বিচারক ছিলেন। এদিকে অবসরের মাস ছয়েক আগে তাঁকে রাজস্থান হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করা হয়। গুজরাত হাইকোর্টের বিচারক থাকাকালীন তিনি ভুয়ো এনকাউন্টার সংক্রান্ত মামলায় অংশ নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আইন মেনে সব রায় দিয়েছি। এনিয়ে কোনও আফশোস নেই। আমি গর্বের সঙ্গে চলে যাচ্ছি কারণ আমার উপর কী প্রভাব পড়তে পারে এটা ভেবে আমি কোনও রায় দিইনি।’ আর অবসরের আগে একসময়ের অঙ্কের ছাত্র থেকে আইন পড়তে আসা জাস্টিস কুরেশি বলে গেলেন, ‘এবার অঙ্ক আর ঘোড়ায় চড়ার শখটা আবার ঝালিয়ে নেব।’