চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে মৃতদেহের স্তূপ। যেন শ্মশানপুরী! এই ছবি মায়ানমারের। মধ্য মায়ানমারের এক গ্রামে সেদেশের সেনা এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে সদ্য। তার জেরে ১৩৩ জনের মৃত্যু সংবাদ উঠে এসেছে। মৃতদেহ মধ্যে মহিলা, শিশুরাও রয়েছে।
উল্লেখ্য, মায়ানমার প্রশাসনের বিরোধী গোষ্ঠী পাজিয়াগি গ্রামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেখানে তাদের পার্টি অফিসও খোলার কথা ছিল। তারপরই সেখানে বিমান হামলা চালায় সেদেশের সেনা। বিমান হানা চালিয়েও খান্ত হয়নি জুন্টা। হামলার আধ ঘণ্টা বাদে একটি হেলিকপ্টার সেখানে আসে। সেই হেলিকপ্টার থেকে অঝোরে গুলি বর্ষণ হয় নিরস্ত্র গ্রামবাসীর দিকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলের নেতারাও। ইতিমধ্যেই ঘটনার সত্যতার কথা স্বীকার করেছে মায়ানমারের শাসক সেনা। তবে মৃতের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে আশঙ্কার পাহাড় তৈরি হচ্ছে মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে। উল্লেখ্য, সেদেশের মানাবাধিকারের দিকটি নিয়ে বেশ খানিকটা উদ্বেগ রয়েছে অনেকেরই। উল্লেখ্য, সেদেশে জুনটা সরকার ক্ষমতা দখলের ২ বছরের মধ্যে এইটিই ছিল সবচেয়ে ভয়ানক হামলা। প্রসঙ্গত ক্ষমতায় এসে, জুনটা সরকার সেদেশের ৪০ টি রাজনৈতিক দলকে ভেঙে দেয়। এই দলগুলির মধ্যে রয়েছে নোবেলজয়ী আংসানসুচির দল দ্য ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিও।
( মায়ের নামে নালিশ করতে দিদার বাড়ি যেতে ২৪ ঘণ্টা সাইকেলিং বালকের! শেষে কী ঘটল?)
এদিকে, ওই এয়ারস্ট্রাইকের ঘটনায় ৫০ জনের প্রাথমিকভাবে আঘাত লাগে বলে জানিয়েছে সিএনএন -এর রিপোর্ট। অন্তত ২০ টি শিশু ওই এয়ারস্ট্রাইকে মারা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ক্রমাগত সেনার জেট ঘোরাফেরা করছে আকাশপথে। গোটা ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে রাষ্ট্রসংঘ। গোটা এলাকায় কোনও সংবাদমাধ্যমকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। রাষ্ট্রসংঘের প্রেসিডেন্ট অ্যান্টনিও গুতেরেস এই এয়ারস্ট্রাইকের কড়া নিন্দা করেছেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup