যাবতীয় জল্পনার অবসান। মণিপুরের মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে বসলেন এন বীরেন সিং। সোমবার ইম্ফলের রাজভবনের সুসজ্জিত লনে শপথবাক্য পাঠ করেন বিজেপির নতুন মুখ্যমন্ত্রী। দুপুর ২টো ২৫ মিনিট নাগাদ রাজ্যপাল নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান। এনিয়ে পঞ্চমবার বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হলেন এন বীরেন সিং। প্রায় ১৭ হাজার ভোটে তিনি এবার কংগ্রেস প্রার্থী পি শরৎচন্দ্রকে পরাজিত করেছেন। অন্যান্য পাঁচজন বিধায়ক এদিন মন্ত্রিসভার প্রতিনিধি হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করেছেন। তার মধ্যে চারজন বিজেপির বিধায়ক ও একজন নাগা পিপলস ফ্রন্টের বিধায়ক রয়েছেন।
রাজনীতিতে আসার আগে তিনি ফুটবল খেলতেন। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হয়ে ডুরান্ড কাপেও খেলেছেন তিনি। ১৯৮১ সালে তাঁর টিমই হারিয়েছিল মোহনবাগানকে। সেই বীরেন সিংই এখন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। ৬১ বছর বয়সী বীরেন সিং একটা সময় সাংবাদিকতাও করেছেন।
পাঁচ বিধায়কদের মধ্যে টিএইচ বিশ্বজিৎ, ইয়ামনাম খেমচাঁদ, গোবিন্দদাস কোনথুজাম, নেমচা কিপগেন ও এনপিএফের ওয়াংবো নেওমাই রয়েছেন। এদিনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রী বিপ্লব দেব, নাগাল্যান্ডের উপমুখ্য়মন্ত্রী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ওকরাম ইবোবি সিং সহ অন্যান্য বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন। তবে তিন দশকের মধ্যে এই প্রথম ইম্ফলে রাজভবনের লনে অনুষ্ঠিত হল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।
এদিকে ২০০২ সালে বীরেন সিং যোগ দিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাটিক রেভলিউশনারি পিপলস পার্টিতে। সেবার তিনি জিতেছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে ওই আসন থেকেই জেতেন। ২০১২ সালে কংগ্রেস শাসিত মণিপুরে তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রীও ছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন। আর এবার একেবারে মুখ্যমন্ত্রী।