নাগরোটা এনকাউন্টার নিয়ে রিভিউ বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সহ গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ কর্তারা। সেখানে এই কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয় যে জম্মুর নাগরোটায় বৃহস্পতিবার সকালে যে চার জঙ্গি হত হয়েছিল, তাদের মুম্বই হানার বর্ষপূর্তিতে বড়সড় আক্রমণের পরিকল্পনা ছিল।
বৈঠকের পর নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশংসা করে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। জম্মু-কাশ্মীরে ডিডিসি নির্বাচনে সন্ত্রাসবাদীরা আক্রমণ করতে চেয়েছিল, সেটিও ইঙ্গিত করেন নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'পাকিস্তানের জয়েশের চার সন্ত্রাবাদীর মৃত্যু ও তাদের সঙ্গে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র থেকে এটা স্পষ্ট যে বড়রকম ক্ষয়ক্ষতি করার চেষ্টা করছিল তারা। নিরাপত্তাবাহিনী ফের চরম সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। তাদের তৎপরতার জন্যেই জম্মু-কাশ্মীরে তৃণমূল স্তরে গণতান্ত্রিক কার্যকলাপ বিঘ্ন করার পরিকল্পনা পরাজিত হয়েছে।'
জঙ্গি বোঝাই একটি ট্রাককে গতকাল সকাল পাঁচটার সময় নাগরোটায় বান টোল প্লাজার সামনে থামায় নিরাপত্তারক্ষীরা। তখনই ড্রাইভার পালায়, যার এখনও খোঁজ নেই। সিআরপিএফ ও পুলিশ ট্রাকটিকে ঘিরে ফেলে। এরপর সেখানে যান জম্মুর আইজি মুকেশ সিং। সন্ত্রাসবাদীদের আত্মসমর্পণ করতে বলেন তিনি।
কিন্তু জয়েশ জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। গ্রেনেড বর্ষণ করে। প্রায় তিন ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ের পর চার জঙ্গির মৃত্যু হয়। আহত হন দুই পুলিশকর্মী। ট্রাক থেকে বিপুল সংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ছিল ১১টি একে ৪৭, ২৯টি গ্রেনেড, তিনটি পিস্তল ইত্যাদি। এছাড়াও ওষুধ, তার, ইলেকট্রিক সার্কিট ইত্যাদি পাওয়া যায়।
স্থানীয় ডিডিসি নির্বাচনের আগে জঙ্গিরা বড় আক্রমণ করতে পারে, সেরকম খবর ছিল নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে। সেই অনুযায়ী ট্রাকটিকে আটকানো হয়েছিল। কিন্তু এবার তদন্ত নেমে জানা গেল ২০০৮-এর ২৬ নভেম্বর মুম্বই হানা যেমন হয়েছিল, সেই দিনেই বড়সড় আক্রমণের ছক ছিল এই জঙ্গিদের। সেটাকে থামাতে পেরে বড় সাফল্য পেল জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ ও সিআরপিএফ।