বাংলাদেশের গণ্যঅভ্যুত্থানের অন্যতম 'মুখ' ছিলেন তিনি। সেই নাহিদ ইসলামই প্রথম থেকে চেয়েছিলেন যাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হন মহম্মদ ইউনুস। পরে ইউনুসের সরকারে নিজেও উপদেষ্টা হয়েছিলেন নাহিদ। তবে সম্প্রতি সরকারি পদ ছেড়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল খুলেছেন নাহিদ। এবং রাজনীতির ময়দানে পা রেখেই মনে হয় নাহিদরা 'বেচাল দিয়ে ফেলেছেন'। আওয়ামি লিগ ইস্যুতে সরাসরি সেনার সঙ্গে 'সংঘাতে' যেতে চাইছেন নাহিদ, হাসনাতরা। অন্তত হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্ট থেকে তেমনই মনে হচ্ছে। এই আবহে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে মহম্মদ ইউনুসের নিন্দায় সরব হলেন এককালে তাঁরই অধীনে কাজ করা নাহিদ। (আরও পড়ুন: আওয়ামি লিগকে ফেরাবে সেনাবাহিনীই? ২৬ মার্চের আগেই খেলা ঘোরার ইঙ্গিত বাংলাদেশে)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সেনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে ধমক 'বিপ্লবী' হাসনাতকে! কী কী বলা হল তাঁকে?
সম্প্রতি ইউনুস জানিয়ে দেন, শেখ হাসিনার বিচার হলেও আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা তাঁর সরকারের নেই। এদিকে হাসনাত এক ফেসবুক পোস্ট করে দাবি করেন, ক্যানটনমেন্টে ডেকে নাকি তাঁদের 'রিফাইন্ড-আওয়ামি লিগ' ফেরানোর কথা বলা হয়েছিল। তবে হাসনাতরা সেই দাবি মানেননি। এই আবহে আজ বাংলাদেশ এনসিপির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানেই নাহিদ বলেন, 'সম্প্রতি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস বলেছেন যে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। আমরা তাঁর এই বক্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছি।' নাহিদদের দাবি, নির্বাচনের সময় আওয়ামি লিগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। নাহিদ বলেন, 'জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। খুনিদের বিচারের কার্যক্রমে গতি দেখতে চাই। আওয়ামি লিগের দল মতাদর্শ ও মার্কার বিরুদ্ধে জনগণ ৩৬ জুলাই (৫ অগস্ট) রায় জানিয়ে দিয়েছে।'
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। এরপর থেকেই শেখ হাসিনার সরকারে থাকা বহু মন্ত্রী ধরা পড়েছেন। আবার বহু মন্ত্রী পালিয়ে গিয়ে অজ্ঞাতবাসে আছেন। এদিকে হাসিনার দেশত্যাগের ৬ মাস পূরণের আবহে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ দিন ধরে বাংলাদেশে ধ্বংসলীলা চলে। এর আগে বাংলাদেশ সকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। আর এরই মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হয়, ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বা রেসিডেন্ট পারমিট বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। হাসিনাকে সরকারি ভাবে 'রাজনৈতিক আশ্রয়' দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। তবে হাসিনাকে বৈধ ভাবে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদী সরকার। এরই মাঝে নানান মামলায় হাসিনার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে ইউনুস সরকার। তবে হাসিনার দলকে তারা নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে নারাজ।