দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হতে চলেছেন? খুব সম্ভবত ১৯ ফেব্রুয়ারি (২০২৫) - অর্থাৎ - আগামী বুধবারই এর উত্তর পাওয়া যেতে পারে। সোমবার তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব।
এদিন হিন্দুস্তান টাইমসকে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী বুধবার বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। অনুমান করা হচ্ছে, ওই বৈঠকেই দিল্লি পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঠিক করা হবে এবং তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। ওই দিন দিল্লিতে বিজেপির পণ্ডিত পন্ত মার্গের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিজেপির এক বরিষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন, 'আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে বিধায়করা সকলে উপস্থিত থাকবেন। এবং তাঁরা পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে আলোচনা করবেন। সেই আলোচনা শেষে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৈঠকের পর পরিষদীয় দলের নেতার নাম ঘোষণা করা হবে। যিনি বিজেপি পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হবেন, তিনিই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন।'
যে বিধায়ককে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হবে, এরপর তিনি অন্য বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং সরকার গঠনের জন্য অনুমতি চাইবেন।
এরপর পরের দিন, অর্থাৎ - আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি দিল্লির রামলীলা ময়দানে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যরাও শপথ গ্রহণ করবেন।
প্রসঙ্গত, দিল্লির নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করার জন্য দলের তরফে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে। কিন্তু, সেই প্রক্রিয়া এখনও পর্যন্ত সারা হয়নি। সূত্রের খবর, এই পর্যবেক্ষকদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতিনিধিরা থাকবেন। তাঁরা দলের ৪৮ জন বিধায়কের সঙ্গে কথা বলবেন, মুখ্যমন্ত্রী কাকে করা যেতে পারে, তা নিয়ে তাঁদের মতামত শুনবেন, এবং সেই সমস্ত তথ্য শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাবেন। তারপরই দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নামে চূড়ান্ত সিলমোহর দেওয়া হবে।
রাজ্য বিজেপির এক নেতা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, 'খুব সম্ভবত সংসদীয় দলের বৈঠকের ঠিক আগেই পর্যবেক্ষকদের নির্বাচিত করা হবে এবং তাঁরা প্রস্তাবিত বৈঠকের আগেই দলের নবনির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলবেন।'
প্রসঙ্গত, ২৭ বছরর পর এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ফের একবার দিল্লিতে সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি। দিল্লি বিধানসভার মোট ৭০টি আসনের মধ্যে তারা পেয়েছে ৪৮টি আসন। যেখানে বিদায়ী সরকারের ক্ষমতায় থাকা আম আদমি পার্টি (আপ) জয়লাভ করেছে মাত্র ২২টি আসনে। যা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের কাছে বিরাট ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক তথ্যাভিজ্ঞ মহল।