ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি দক্ষিণ চিন সাগর অঞ্চল। এই আবহে এবার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন যে বেজিংয়ের চোখ সর্বক্ষণ খোলা। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে কোনও প্ররোচণা চিন অদেখা করবে না বলেও জানান জিনপিং। এই মন্তব্যের মধ্যেই চিনা সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্টে দাবি করা হয়, তাইওয়ান খারিতে সামরিক অনুশীলন শুরু করেছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। এদিকে পেলোসির সফর প্রসঙ্গে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ‘এই সফর গণতন্ত্রের বিষয় নয়। এই সফর চিনের সার্বভৌমত্ম এবং অখণ্ডতার বিষয়।’
এদিকে ন্যান্সি পেলোসি নিজের সফর প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি এবং মার্কিন প্রতিনিধিরা তাইওয়ানে এসেছি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে। আমরা শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছি এখানে। আমরা তাইওয়ানের জনগণের কথা শুনতে এসেছি। আমরা কীভাবে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পারি তা তাইওয়ানের থেকে শিখতে এসেছি। করোনা অতিমারির সঙ্গে লড়াইয়ে সাফল্যের জন্য তাইওয়ানকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। পাশাপাশি স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, সুরক্ষা ও সঠিকভাবে দেশ শাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সুনিশ্চিত করার জন্যও শুভেচ্ছা।’
এদিকে তাইওয়ানে পেলোসি অবতরণের পরই হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিন। চিনেক তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'এই ধরণের পদক্ষেপ অত্যন্ত বিপজ্জনক, বিষয়টা আগুন নিয়ে খেলার মতো। যারা আগুন নিয়ে খেলে তারা আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায়।' পরে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে টুইট করে দাবি করা হয়, তাইওয়ানে পেলোসির সফরের প্রতিবাদে কয়েকটি নির্দিষ্ট সামরিক পদক্ষেপ করবে চিন। দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ করবে পিপলস লিবারেশন আর্মি।
এদিকে পেলোসির সফরের আগেই পিএলএ-র ২০টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। এর জেরে যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগেই জাপানের বিমান ঘাঁটি থেকে ১৩টি মার্কিন যুদ্ধবিমান তাইওয়ানে এসে পৌঁছেছিল। পেলোসির সফরকালে চিন যে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে পারে, এর আঁচ আগেই পেয়েছিল আমেরিকা। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে পেলোসি নিজের সফর সম্পন্ন করে তাইওয়ান ছাড়েন। যদিও চিন এখনও ফোঁসছে।