পাকিস্তানে আক্রান্ত গুরু নানকের জন্মস্থানে নানকানা সাহিব গুরুদ্বারা। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পাক সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে আর্জি জানাল ভারত।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নানকানা সাহিব গুরুদ্বার ধ্বংস করার দাবিতে সমবেত হয় বিশাল জনতা। গুরুদ্বারা লক্ষ্য করে নাগাড়ে পাথর বর্ষণ চলতে থাকে বেশ কিছু ক্ষণ। ভিতরে আটকে পড়েন বেশ কিছু শিখ ভক্ত।
দুষ্কৃতীদের হাত থেকে ঐতিহাসিক সৌধটি রক্ষা করার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে আবেদন জানান সে দেশের শিখ রাজনৈতিক নেতারা।
প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, এ দিনের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয় গুরুদ্বারার পাঠির কন্যা শিখ তরুণী জগজিত্ কাউরকে অপহরণের পরে জোর করে ধর্মান্তরিত করা যুবকের পরিবার।
নানকানা সাহিব গুরুদ্বারাকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পাক প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আবেদন জানিয়ে টুইট করেন পঞ্জাবের মুক্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘ইমরান খানের কাছে আবেদন, নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে আটকে পড়া ভক্তদের অবিলম্বে উদ্ধারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে ঐতিহাসিক গুরুদ্বারাটি ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করুন।’
অকালি দলের সাংসদ মনজিন্দর সিরসাও সোস্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ক্লিপ শেয়ার করেন। ওই ভিডিয়ো ক্লিপে গুরুদ্বারা ঘিরে রাখা ক্ষুব্ধ মুসলিম জনতাকে শিখ-বিরোধী সমলোগান দিতে দেখা গিয়েছে।
তিনিও পাক প্রধানমন্ত্রীকে ‘এই ধরনের সাম্প্রদায়িক ঘটনা যা পাকিস্তানে বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায়ের মনে নিরাপত্তার অভাব জাগিয়ে তুলছে,’ তা বন্ধ করার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।