বৃহস্পতিবার সংসদে মহুয়া মৈত্রের বক্তৃতা নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলেছে। গতকালই অধিবেশনে মহুয়ার নাম না নিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা তাঁকে সতর্ক করে দিয়ে সংসদের মর্যাদা বজায় রাখার বার্তা দেন। এবার মহুয়ার বক্তব্যের একটি অংশ ভাইরাল হতেই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভিডিয়োতে মহুয়াকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে সরকার চায় না যাতে জৈন ধর্মাবলম্বীরা লুকিয়ে মাংস খায়, তাই আহমেদাবাদে আমিষ খাবারের স্টল নিয়ে এত কড়াকড়ি। আর মহুয়ার বক্তব্যের এই অংশের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই অনেক জৈন ধর্মাবলম্বী তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি। তিনি জানান, মহুয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে তাঁর দল দেখা করবে লোকসভা স্পিকারের সঙ্গে।
সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সাংসদ (মহুয়া মৈত্র) জৈন সম্প্রদায় এবং তাদের সংস্কৃতিকে অপমান করার মানসিকতা নিয়ে সংসদে কথা বলেন। এই মানসিকতা বিপজ্জনক। সেই সম্প্রদায়কে নিয়ে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’
মুক্তার আব্বাস নকভি আরও বলেন, ‘কংগ্রেসের সিনিয়র নেতারা সংসদে বসেছিলেন, ধর্মনিরপেক্ষ সিন্ডিকেটও সেখানেই বসেছিল। তারা চুপ হয়ে বসেছিলেন। আমাদের দলের সদস্যরা আপত্তি জানায়। আমরা স্পিকারের (ওম বিড়লা) সঙ্গে দেখা করব এবং তার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলব। নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
উল্লেখ্য, এর আগে লোকসভার চেয়ারের বিরুদ্ধে বিতর্কিত টুইট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মহুয়া। এর প্রেক্ষিতে কৃষ্ণনগরের সাংসদকে ইঙ্গিত করে অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমি সবাইকে বলতে চাই যে সংসদের ভিতরে হোক কি বাইরে, চেয়ারের (লোকসভার স্পিকার) বিরুদ্ধে মন্তব্য দেশের সম্মানের জন্য ভালো নয়। প্রত্যেক সদস্যের উচিত সংসদের সম্মান করা। চেয়ারে যেই থাকেন, তিনি সবসময় নিরপেক্ষ হয়ে, নিয়ম মেনে সংসদ পরিচালনার চেষ্টা করেন। যে যখন চেয়ারে বসেন, তখন সেই সদস্য এই পদের প্রাপ্য সকল সাংবিধানিক অধিকার পান। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি যাতে কেউ চেয়ার সম্পর্কে সংসদের ভিতরে বা বাইরে কোনও মন্তব্য না করেন।’