বাংলাদেশের নড়াইলে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় এখনও এলাকাজোড়া আতঙ্ক। গ্রাম ছেড়েছেন পুরুষ, মহিলা ও শিশুরা। নড়াইলের দিঘলিয়ার সাহা পাড়ায় এখন শুধু দেখা মিলছে বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাদের। ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওদিকে বিবিসি বাংলার কাছে একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন গ্রামটির প্রাক্তন জনপ্রতিনিধি বিউটি রানি মণ্ডল।
বিউটিদেবী জানিয়েছেন, নড়াইলের দিঘলিয়ার সাহাপাড়া গ্রাম হিন্দু অধ্যুষিত। সেখানে ১১০টি হিন্দু পরিবার রয়েছে। গ্রামে ১৫টি মুসলিম পরিবারের বাস। গত শুক্রবার গ্রামে ফেসবুক পোস্টে ধর্ম অবমাননা হয়েছে বলে গুজব ছড়ায়।
বিউটি দেবীর দাবি, সেই খবরের সত্যাসত্য বিচার না করে সন্ধে ৭টা নাগাদ পরিকল্পনামাফিক হিন্দুদের ওপর হামলা চালায় ৬৫০ থেকে ৭০০ ইসলামি চরমপন্থী। হামলাকারীদের মধ্যে মাদ্রাসা ছাত্র ও বয়স্ক মানুষ ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিউটিদেবী বিবিসিকে বলেছেন, ‘হামলাকারীরা আল্লাহু আকবর’ ও ‘হিন্দুদের মার’ স্লোগান দিয়ে হামলা চালায়।
গত শুক্রবার বাংলাদেশের নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামে হিন্দুদের বাড়ি, দোকান ও মন্দিরে হামলা হয়। মন্দিরে একের পর এক মূর্তি ভাঙে চরমপন্থী মুসলিমরা। হিন্দুদের বাড়ি ও দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় সাংসদ তথা বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাসরাফি বিন মুর্তাজা বিবিকে বলেছেন, ‘যে সমস্যাগুলো কখনও নড়াইলে হয়নি। এখন সে রকম ঘটনা বার বার ঘটছে। এর কারণটা আমি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এখানে কোন ইঙ্গিতের বিষয় নেই। কোন চক্র ঘটনা ঘটিয়েছে, সেটাই বের করতে হবে।’
সেদেশের গুণীজনদের একাংশের মতে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর একের পর এক হামলায় শাসকদল আওয়ামি লিগের মদত রয়েছে। সরকারি দলের মদত ছাড়া এই ধরনের একাধিক পরিকল্পিত হামলা চালানো সম্ভব নয় বলে দাবি তাদের।