আজ কার্গিলে বিজয় দিবস উপলক্ষে শহিদ সেনা জওয়ানদের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই ভাষণ দেওয়ার সময় পাকিস্তানের নাম না নিয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন মোদী। দ্রাস থেকে মোদী আজ বলেন, 'আমি আজ এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছি, যেখান থেকে সন্ত্রাসীদের মাস্টাররাও আমার গলা সরাসরি শুনতে পারবে। আমি তাদের বতলে চাই যে তারা তাদের এই সব ষড়যন্ত্রকারী পরিকল্পনায় কখনও সফল হবে না। আমাদের সৈনিকরা এই জঙ্গিদের পিষে দেবে। আমাদের শত্রুদের যোগ্য জবাব দেবে সেনা।' (আরও পড়ুন: বিদেশ নিয়ে 'মাথা ঘামানো' CM-এর পদক্ষেপে সরব কেন্দ্র, অনাধিকার প্রয়োগে বারণ)
আরও পড়ুন: মোক্ষম চাল ভারতের, ১৫৮০০ ফুটে চিনকে হারাতে নিজে হতে আজ বিস্ফোরণ ঘটালেন মোদী!
আজ কার্গিলে দ্রাসে গিয়ে ওয়ার মেমোরিয়ালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন নরেন্দ্র মোদী। উল্লেখ্য, আজকের দিনে ঠিক ২৫ বছর আগে কার্গিল থেকে পাক সেনা এবং ইসলামাবাদের মদতপুষ্ট সেনাদের পুরোপুরি তাড়াতে সক্ষম হয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই উপলক্ষে আজকের দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই আবহে আজ মোদী বলেন, 'পাকিস্তান ইতিহাস থেকে কোনও শিক্ষা নেয়নি। তারা এখনও সন্ত্রাসবাদ এবং ছায়া যুদ্ধের মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করছে।' (আরও পড়ুন: লোকসভায় দাঁড়িয়ে খলিস্তানি অমৃতপালের হয়ে গলা ফাটালেন কংগ্রেস সাংসদ, দল বলল...)
আরও পড়ুন: '৫ দশক লাগল ভুল বুঝতে',RSS-এ সরকারি কর্মীদের যোগদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ওঠায় বলল HC
নিজের ভাষণে মোদী আরও বলেন, 'লাদাখ হোক বা জম্মু ও কাশ্মীর, ভারত উন্নয়নের পথে আসা প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে পরাজিত করবে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই ৫ অগস্ট চলে আসবে। ৩৭০ ধারা বাতিলের ৫ বছর পূর্ণ হবে। এখন জম্মু ও কাশ্মীর একটি নতুন ভবিষ্যতের কথা বলছে, বড় স্বপ্নের কথা বলছে। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটন খাতও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কয়েক দশক পর কাশ্মীরে একটি সিনেমা হল খুলেছে। সাড়ে তিন দশক পর প্রথমবারের মতো শ্রীনগরে তাজিয়া মিছিল বের হয়েছে। পৃথিবীতে আমাদের এই স্বর্গ দ্রুত শান্তি ও সম্প্রীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।'
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ডুবে মহারাষ্ট্র, মৃত ৭, আরও বড় দুর্যোগের মুখে মুম্বই, জারি লাল সতর্কতা
এদিকে এদিন অগ্নিপথ নিয়েও মুখ খোলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অগ্নিপথ প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয় সংস্কারের একটি উদাহরণ... কিছু লোক মনে করতেন যে সেনাবাহিনী মানেই রাজনীতিবিদদের স্যালুট করা, প্যারেড করা... কিন্তু আমাদের কাছে সেনাবাহিনী মানে ১৪০ কোটি দেশবাসীর বিশ্বাস। অগ্নিপথের লক্ষ্য সেনাবাহিনীকে তরুণ করে তোলা, সেনাবাহিনীকে ক্রমাগত যুদ্ধের জন্য উপযুক্ত রাখা। দুর্ভাগ্যবশত, কিছু লোক জাতীয় নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কিত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়কে রাজনীতির বিষয় করে তুলেছে। এরাই সেই লোক যারা সেনাবাহিনীতে হাজার হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি করে আমাদের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করেছে।'