প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং গাজা শান্তি পরিকল্পনার জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মোদী এই একই ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথেও কথা বলেন গতকাল। ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনের পরেই নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন মোদী। এই নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার অগ্রগতির জন্য অভিনন্দন জানাতে আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলাম। আমরা বন্দিদের মুক্তি এবং গাজার জনগণকে উন্নত মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত চুক্তিকে স্বাগত জানাই। আমি এও পুনর্ব্যক্ত করেছি যে কোনও রূপে সন্ত্রাসবাদ বিশ্বের কোথাও গ্রহণযোগ্য নয়।'
এদিকে এই কথোপকথন প্রসঙ্গে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের মুক্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই বৈঠক চলাকালীনই ফোন করেছিলেন মোদী। এই আবহে সিকিউরিটি ক্যাবিনেটের বৈঠক থামিয়ে দিয়ে মোদীর সঙ্গে কথা বলেন বেঞ্জমিন। মোদীর সঙ্গে কথোপকথনের সময় ইজরায়েল-ভারত বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করার বার্তা দেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইজরায়েলের প্রতি ভারতের সমর্থনের জন্য মোদীকে ধন্যাদ জানান বেঞ্জামিন। উভয় নেতাই ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন।
এদিকে গাজা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ক্রেডিট’ দিয়ে গতকালই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন মোদী। এরপরই মোদীকে ফোন করেন খোদ ট্রাম্প। ট্রাম্পের সঙ্গে বাক্যালাপের পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘আমার বন্ধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বললাম। ঐতিহাসিক গাজা শান্তি পরিকল্পনার সাফল্যের জন্য ওঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। সেইসঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনার যে অগ্রগতি হচ্ছে, তারও পর্যালোচনা করেছি। আগামিদিনেও যোগাযোগ বজায় রাখার বিষয়ে একমত হয়েছি আমরা।’ গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ফোনে কথা হল মোদী এবং ট্রাম্প। তারইমধ্যে পাকিস্তানের উপরে কিছুটা খেপে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। গাজা শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে যে যে দেশগুলির নাম উল্লেখ করেছেন, তাতে পাকিস্তানের নাম বলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে অবশ্য পাকিস্তানই ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়ে পরে দাবি করে, তারা গাজা পরিকল্পনার সঙ্গে সহমত নয়।