দেশের প্রথম সোলার পাওয়ার গ্রাম হচ্ছে গুজরাতের মোধেরা। এদিন একথা ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদী। এই গ্রামে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ চালিত থাকবে সোলার পাওয়ারে। উল্লেখ্য, মোধেরা এমনই এক এলাকা যা চালুক্য রাজ ইতিহাসেও জায়গা করে নিয়েছে। চালুক্যদের তৈরি সূর্যমন্দির রয়েছে এখানে। আর সেই জায়গাতেই সোলার পাওয়ার গ্রামকে সাজিয়ে তোলা নিঃসন্দেহে এক বড় মাইলস্টোন।
গুজরাতে এক সভা থেকে মোধেরা নিয়ে এই বড়বার্তা দেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘আমরা আর বিদ্যুতের বিলের খরচ দেব না, বরং তার জায়গায় আমরা তা বিক্রি করব, আর তার থেকে টাকা রোজগার করব। আগে সরকার সরবরাহ করত বিদ্যুত দেশবাসীকে, এখন নাগরিকরা নিজের বাড়িতেই তৈরি করতে পারবেন বিদ্যুুৎ।’ তিনি বলেন, এক নতুন অপ্রচলিত শক্তির বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে যা ছড়িয়ে পড়ছে গুজরাতের উত্তর দিকে। উত্তর গুজরাতের মাহসেনা, মধেরার মতো জায়গায় উন্নয়ন হচ্ছে কীভাবে তার খতিয়ান দেন মোদী। রাস্তা, রেল, বৈদ্যুতিক যোগাযোগ ঘিরে কীভাবে উত্তর গুজরাতের বিভিন্ন অংশে উন্নয়নের ধারা চলেছে, তা গুজরাতের ভূমিপুত্র নরেন্দ্র মোদী নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, সামনেই গুজরাত ভোট। তার আগে নবরাত্রি পরবর্তী গুজরাতে এক সভায় যোগ দিয়ে বিজেপি সরকারের উন্নয়নের নানান হিসাব নিকেষ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
কানাডাকে ডিমার্চ জারি করল ভারত, নেপথ্যে খালিস্তান ইস্যু ঘিরে কোন ঘটনা?
গুজরাতের যে গ্রামে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকার কথা বললেন মোদী, সেই গ্রাম মোধেরা মাহসেনা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। গুজরাতের গান্ধীনগর থেকে তার দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। সেখানে ১,৩০০ টি বাড়ির ছাদে সোলার পাওয়ার দেওয়া হয়েছে। সেখানেই চালু হয়েছে সোলার পাওয়ার চালিত এই বিদ্যুৎ সংযোগ। গুজরাতের এই গ্রামে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার মিলিয়ে ৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বলে জানা গিয়েছে।