প্রয়াত ভারতের অন্য়তম শীর্ষ স্থানীয় বিজ্ঞানী রাজাগোপাল চিদাম্বরম। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে ভারতের পারমাণবিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'ডঃ রাজাগোপাল চিদাম্বরমের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। তিনি ভারতের পারমাণবিক কর্মসূচীর অন্যতম স্থপতি ছিলেন এবং ভারতের বৈজ্ঞানিক ও কৌশলগত সক্ষমতাকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অবদান রেখেছিলেন। সমগ্র জাতি তাঁকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে এবং তাঁর প্রচেষ্টা আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।' (আরও পড়ুন: তুরস্ক থেকে ট্যাঙ্ক কিনছে বাংলাদেশ, সবটাই দেখছে ভারত, বিদেশ মন্ত্রক বলল...)
আরও পড়ুন: সোমে বৈঠক,ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপের করিডর চালু নিয়ে ডোভালকে বলবেন US NSA
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে মিলল সশস্ত্র গোষ্ঠীর ক্যাম্প, তবে একজনকেও ধরতে পারল না বাংলাদেশি সেনা
জানা গিয়েছে, আজ ভোররাত ৩টে ২০ মিনিটে মুম্বইয়ের যশলোক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স ৮৮ বছর হয়েছিল। তিনি পারমাণবিক শক্তি দফতরের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। জানা যায়, রাজাগোপাল চিদাম্বরমের জন্ম হয়েছিল ১৯৩৬ সালে। চেন্নাইয়ের প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিউট অফ সায়েন্সে পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভারতের মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ছিলেন। এর আগে ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের ডিরেক্টর ছিলেন। এরপর ১৯৯৩ থেকে ২০০০ পর্যন্ত তিনি অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান, ভারত সরকারের পারমাণবিক শক্তি দফতরের সচিব পদে ছিলেন। (আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে BSF, অভিযোগ করেছিলেন মমতা, জবাবে বিদেশ মন্ত্রক বলল...)
আরও পড়ুন: 'আল্লাহর আইন ছাড়া কিছু চলবে না', বাংলাদেশে সংবিধান বদলের জল্পনা বাড়াল জামাত
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দু সাংবাদিকের মা এবং মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে ধারাল অস্ত্রের কোপ
এর মাঝে তিনি বোর্ড অফ গভর্নরস অফ দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির চেয়ারম্যান ছিলেন ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৫ সালে। ১৯৭৫ সালে পোখরান ১ পরীক্ষার কোঅর্ডিনেটর ছিলেন তিনি। এরপর ১৯৯৮ সালে বাজপেয়ী জমানাতে পোখরান ২-এর প্রস্তুতির কোঅর্ডিনেটরও ছিলেন তিনি। পোখরান ১ পরীক্ষার সময় রাজস্থানে সেই টেস্ট রেঞ্জ তৈরি করতে সেনাকে সাহায্য করেছিলেন চিদাম্বরম। এদিকে ১৯৯৮ সালে 'অপারেশন শক্তি' পরিচালনার সময় পারমাণবিক শক্তি দফতরের প্রধান ছিলেন তিনি। এই পারমাণবিক পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। এর আগে ভাবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান হিসেবে ভারতে সুপার কম্পিউটার তৈরির বিষয়ের ওপর জোর দেন।