একশোটি বেয়াড়া প্রশ্নের একটিও না এড়িয়ে ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে সিট-এর জেরা মোকাবিলা করেছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই তথ্য জানিয়েছেন গোয়েন্দা দলের সেই সময়কার প্রধান আর কে রাঘবন তাঁর লেখা সদ্য প্রকাশিত বই ‘আ রোড ওয়েল ট্র্যাভেলড’-এ।
তিনি লিখেছেন, টানা ৯ ঘণ্টার জেরায় একবারও ঘাবড়াননি মোদী এবং এক কাপ চা-ও মুখে তোলেননি। জেরায় অংশগ্রহণের সময় শুধুমাত্র নিজের আনা বোতল থেকে তিনি জলপান করেছিলেন। জেরার জন্য গান্ধীনগরে সিট দফতরে ডাকতেই নির্দ্বিধায় তিনি সাড়া দিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন রাঘবন।
সুপ্রিম কোর্ট গঠিত সিট-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া ছাড়াও সিবিআই প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রাঘবন। বফর্স কাণ্ড, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি এবং ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ডের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তিনি অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
মোদীকে জেরায় ডাকার ঘটনা সবিস্তারে তাঁর বইয়ে লিখেছেন রাঘবন। তিনি লিখেছেন, ‘তাঁর কর্মচারীদের আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, সিট অফিসে তাঁকে সশরীরে হাজির হতে হবে। অন্য কোথাও তাঁর সঙ্গে কথা বলারঅর্থ বিশেষ সুবিধা দেওয়া। তিনি বিষয়টির তাৎপর্য বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে গান্ধীনগরে আমাদের দফতরে আসতে সম্মত হয়েছিলেন।’
জেরার আগে সিট দলের সদস্য অশোক মালহোত্রাকে প্রশ্ন করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাঘবন। তাঁর যুক্তি, মোদীর সঙ্গে বোঝাপড় করেছেন, এই অভিযোগ এড়াতেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে নিজে প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকেন।
রাঘবন জানিয়েছেন, ‘পরবর্তীকালে অ্যামিকাস কিউরে হরিশ সালভে এই আশহ্কার কথা তোলেন। তিনি আমায় বলেছিলেন, আপনার উপস্থিতি মোদীর বিবৃতিকে প্রভাবিত করতে পারত এবং তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাত।’
তবে জেরার আগে তাঁর সঙ্গে সালভেরকথা হয়নি বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন সিবিআই প্রধান।