আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের জন্য ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিল বিজেপি। এর জন্য এনডিএ সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে। নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করতে জোটের সাংসদদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকগুলিতে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পরিবহনমন্ত্রী নীতির গড়কড়ি এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। গতকাল, ৩১ জুলাই থেকে ১০ অগস্ট পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে এই বৈঠকগুলি চলবে। গতকাল এহেন এক বৈঠকে ফের একবার বিরোধীদের 'ইন্ডিয়া' জোটকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ থেকে কানপুর-বুন্দেলখণ্ড পর্যন্ত অঞ্চলের ৪৪ জন সাংসদ নিয়ে বসা এক বৈঠকে বিরোধী জোটের নামকরণ নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন মোদী। এর আগেও একাধিক জনসভা থেকে বিরোধী জোটকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন মোদী। ইন্ডিয়া জোটকে মুজাহিদিনের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন তিনি।
সাংসদদের উদ্দেশে বার্তায় মোদী বলেন, 'বিরোধী জোটের নাম ইউপিএ থেকে পরিবর্তন করে ইন্ডিয়া হয়েছে। তবে তাতে পুরনো পাপ ধুয়ে মুছে সাফ হবে না। তারা যেভাবে সরকার চালাতে ব্যর্থ হয়েছিল, তা লোকে ভুলবে না। তাদের দুর্নীতির কথাও মানুষের মনে থাকবে। আমাদের সরকার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাই আমরা মানুষের আশীর্বাদ পেতে থাকব।' এদিকে সাংসদদের উদ্দেশে মোদীর বার্তা, সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের ইতিবাচক কর্মকাণ্ড এবং জনমুখী প্রকল্পগুলি তুলে ধরুন। সাংসদদের নিজের অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে আরও বেশি করে সময় কাটানোর পরামর্শ দেন মোদী।
এদিকে দিনের দ্বিতীয় বৈঠকে ঝাড়খণ্ড এবং বাংলার সাংসদদের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকের পরে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আগামী লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আজ আমাদের মার্গদর্শন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, দলের তরফে আজকের বৈঠকে তিনটি রাজ্যের মোট ৬টি ভিডিয়ো প্রদর্শিত হয়েছে। বিশেষত আমি পশ্চিমঙ্গের ক্ষেত্রে বলব... পশ্চিমবঙ্গে বিগত ৯ বছরে আমাদের এনডিএ সরকার বিপুল পরিমাণ কাজ করেছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য এই সব কাজ হয়েছে। কল্যাণী এইমস থেকে শুরু করে, মেট্রো থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় রাজমার্গ থেকে শুরু করে অনেক ক্ষেত্রে কাজ হয়েছে। এদিকে বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি নিয়ে একটি ভিডিয়ো দেখানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, ইউপিএ-র নামটা দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়িয়েছিল। ২জি, ৩জি, জিজাজি, কোলগেট... তার জেরে এখন আমাদের বিরোধীরা এই ইউপিএ-র নাম আর বয়ে বেড়াতে পারছে না। তাই তারা ইউপিএর বদলে আই.এন.ডি.আই.এ - এই জোট করেছে। আসলে এটা আর কিছুই না, ইউপিএ-র রূপান্তর এটা। কয়লা যেমন কার্বনে রূপন্তর হয়, তেমন ইউপিএ বদলে হয়েছে আই.এন.ডি.আই.এ।'