সামনেই ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কার্যত সরগরম তেলাঙ্গানা। সদ্য সেখানে উপনির্বাচনের ফলাফল বুঝিয়ে দিয়েছে যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ঘূর্ণাবর্ত সেখানে স্থানীয় দল টিআরএস ও বিজেপিকে কেন্দ্র করেই এগোবে। এরই মাঝে তেলাঙ্গানা সফরে যান মোদী। সেখানে এক জনসভা থেকে বিরোধীদের ধারালো আক্রমণে বেঁধেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তেলাঙ্গানার মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি সাফ বার্তায় বিরোধী টিআরএসকে নিশানা করেন। নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ আমি তেলাঙ্গানার মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, যাঁরা লুঠ করছেন,তাঁদের ছেড়ে কথা বলা হবে না। যাতে কোনও অ্যাকশন তাঁদের বিরুদ্ধে না নেওয়া হয়, তার জন্য, কিছু মানুষ সংঘবদ্ধ হচ্ছেন আর জোট হচ্ছে দুর্নীতি গ্রস্তদের। তেলাঙ্গানার মানুষ আর গোটা দেশ তাঁদের দিকে নজর রাখছে।’ এদিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রশংসায় মোদী বলেন, জনধন-আধার-মোবাইলের দৌলতে ত্রিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভুয়ো উপভোক্তাদের ধরা গিয়েছে। মোদী বলেন, আগে, টাকা আর রেশন যা দরিদ্রদের দেওয়া হত, তা চলে যেত অন্যত্র। তবে এখন তা প্রাপ্য মানুষের কাছেই যাচ্ছে। এই অনুষ্ঠানেই নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘ কিছু মানুষ ভয়, কুসংস্কার, আগ্রাসন থেকে মোদীকে গালি দিচ্ছেন, আমি বিজেপি কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগতভাব অনুরোধ করব যে, তাঁরা যেন সেই কৌশলের ফাঁদে না পড়েন। ’
ঘন ঘন শরীরে কালশিটে, মূত্রের রঙ গাঢ় হচ্ছে? লিভারের সমস্যার উপসর্গ একনজরে
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আমি ক্লান্ত হই না। কারণ আমি রোজ ২- ৩ কিলো গালি খাই ঈশ্বর এমনভাবেই আমাকে তৈরি করেছেন যে, এইগুলি আমার ভিতর পুষ্টি হিসাবে চলে যায়। আর এটাকে আমি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করি।’ সদ্য তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে নেওয়া হয় বলে। সেই প্রসঙ্গে নামা না করে মোদী সাফ জানান, কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে অনেকেই তাঁকে ‘গালি ’ দিয়ে থাকেন। মোদী বলেন, ‘তেলাঙ্গানা হল ইনফরমেশন টেকনোলজির কেন্দ্র। তবে এই আধুনিক শহরে কুসংস্কার ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ’ এই ভঙ্গিতেই মোদী আক্রমণের নিশানায় রাখেন টিআরএসকে।