নরেন্দ্র মোদীর মতো হুবহু একইরকম দেখতে বেশ কয়েকজন রয়েছেন দেশে। মাঝে মধ্যে লাইমলাইটেও আসেন। তবে এই ব্যক্তির বিষয় আলাদা। তিনি লাইলাইটের পাশাপাশি প্রচারেও এসেছেন। ইলেকট্রিক-রিকশা চালক রশিদ আহমেদ, যাঁকে দিল্লির আশেপাশের মানুষজন 'মোদী' নামেও অভিহিত করেন। বিজেপির প্রচারে ইদানিং প্রায়শই দেখা যায় তাঁকে। হুবহু প্রধানমন্ত্রীর মতো দেখতে রশিদ স্ত্রী, সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের সঙ্গে থাকেন।
আহমেদ আসলে একজন লোকাল সেলিব্রিটি। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে বা তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে আগ্রহী দর্শকরা প্রায়শই তাঁর দৈনন্দিন কাজে বাধা দেয়। আহমেদ দিল্লির পাড়ার বাচ্চাদের কাছে 'মোদী চাচা' নামেও পরিচিত। আহমেদ এ প্রসঙ্গে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, 'আমি শুরু থেকেই এমন ছিলাম, কিন্তু মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এটি নিয়ে আরও বেশি আলোচনা হচ্ছে।'
- বিজেপির প্রচারে গিয়ে আয় করেন মোটা টাকা
সম্প্রতি, রশিদ আহমেদ ভারতীয় জনতা পার্টির জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন। একেবারেই প্রধানমন্ত্রীর মতো দেখতে হওয়ায়, ভিড়ের মধ্যে অনেকেই তাঁকে প্রথমে বিজেপি সুপ্রিমো নরেন্দ্র মোদী বলে ভুল করেছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মতো দেখতে হওয়ায় এই ধরনের প্রচার ইভেন্ট থেকে তিনি প্রায় ১,০০০ টাকা আয় করেছেন। এ প্রসঙ্গে আহমেদ বলেছেন, মানুষ আমাকে টাকা দেয় সমাবেশে আমার উপস্থিতির জন্য এবং আমিও যেহেতু আমার কাজ ছেড়ে প্রচারে যাচ্ছি, এই টাকাটা আমার জন্য নেওয়া জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আহমেদ আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ভালো-মন্দ সবার কথাই শুনবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতো দেখতে আরও একজন ব্যক্তি হলেন জগদীশ ভাটিয়া, যিনি রাজধানীর একটি উচ্চবিত্ত এলাকায় একটি রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করেন এবং একটি আধ্যাত্মিক সম্প্রদায়ের অন্তর্গত তিনি। বিজেপির সমাবেশে যোগদানের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, ভাটিয়া বলেছিলেন যে তিনি এই যোগদানের জন্য অর্থ গ্রহণ করেন না, প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য তাঁর প্রশংসার কারণে এই যোগদানকে তিনি সমাজসেবা হিসাবে দেখেন। ভাটিয়ার কথায়, মোদী যেভাবে কাজ করেছেন, দেশের উন্নয়নের জন্য তিনি যে কাজগুলি করেছেন তা আমি সত্যিই পছন্দ করেছি.। তাই আমি দলের জন্য কিছু কাজে আসতে পারলে, সেটা আমার ভালো লাগে। সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল কেমন হবে, এ সম্পর্কে ভাটিয়াকে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, শুধু সময়ই বলে দেবে। আমরা শুধু চাই ভালো কাজ হোক। সব দিকেই উন্নয়ন হোক। এর জন্য সবাইকে একসঙ্গে থাকতে হবে।