বিদেশ নীতির কথা উল্লেখ করে সংসদে বড় খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মোদী বলেন, 'রাষ্ট্রপতির ভাষণের চর্চার সময় এখানে বিদেশ নীতিরও চর্চা হয়েছে। কিছু মানুষের মধ্য়ে এটা মনে হয় যে যতক্ষণ না বিদেশ নীতি নিয়ে তাঁরা না বলছেন ততক্ষণ ম্যাচিওর মনে হবে না। তাঁদের মনে হয় ফরেন পলিসি…(হেসে ফেলেন মোদী)। তাঁরা বলেন ফরেন পলিসি তো বলতেই হবে। দেশের ক্ষতি হলেও…আমি এই সমস্ত মানুষকে কিছু বলতে চাই। যদি তাঁরা সত্যি করে বিদেশ নীতির বিষয়ে প্রতি আগ্রহ থাকে, ফরেন পলিসি বুঝতে চান বা আগামী দিনে কিছু করতে চান তবে তাঁরা ( শশীজির জন্য বলছি না) তবে আমি বলছি একটা বই অবশ্য়ই পড়বেন। হতে পারে তাঁকে কী বলতে হবে সেটা তিনি বুঝে যাবেন। সেই বইয়ের নাম জেএফকে-র ফরগটেন ক্রাইসিস। এই বই এক বিখ্য়াত ফরেন পলিসি স্কলার লিখেছেন। আর এর মধ্য়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রয়েছে। এই বইতে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর কথা যিনি বিদেশ নীতিতে নেতৃত্ব দিতেন এই বইতে পন্ডিত নেহেরু,আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির মধ্য়ে হওয়া আলোচনা বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যখন দেশ নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে তখন বিদেশ নীতির নামে কী খেলা হয়েছিল ওই বইতে সব সামনে এসেছে। সেজন্য বলছি এই বইটি পড়ুন। '
এবার প্রশ্ন কাকে খোঁচা দিলেন মোদী?
রাজনৈতিক মহলের মতে, সম্প্রতি চিন সম্পর্কিত নানা বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তবে কি তাঁকেই খোঁচা?
কী বলেছিলেন রাহুল গান্ধী?
রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মেক ইন ইন্ডিয়া প্রোগ্রামের প্রস্তাব করেছিলেন। আমার মনে হয় এটা একটা ভালো আইডিয়া। আর তার ফল তো আপনাদের সামনেই হাজির। উৎপাদনক্ষেত্রে জিডিপি ১৫.৩ শতাংশ ছিল ২০১৪ সালে। সেটা আরও নেমে গিয়ে হয়েছে ১২.৬ শতাংশ। ৬০ বছরে এটা সর্বনিম্ন।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দোষ দিচ্ছি না। তিনি চেষ্টা করেননি এটা বলা ঠিক হবে না। আমি বরং এটা বলব যে প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করেছেন কিন্তু তিনি ব্যর্থ। আমি উৎপাদনক্ষেত্রকে চিনের হাতে তুলে দিয়েছি।
রাহুল গান্ধী একটি শক্তিশালী উৎপাদন ক্ষেত্র তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের অসমর্থতার কথাকে তুলে ধরেন। তিনি জানিয়েছেন, যে কোনও দেশ দুটি বিষয়কে তুলে ধরে। একটা হল ভোগ আর অপরটি হল উৎপাদন। বর্তমানে এটাকে পরিষেবা বলে উল্লেখ করা হয়। আর এক সংগঠিত প্রোডাকশনকে ম্যানুফাকচারিং বলে উল্লেখ করা হয়। তবে কেবলমাত্র ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের থেকে এই প্রোডাকশনে অনেক বড় বিষয় থাকে। তবে এই অর্গানাইজিং প্রোডাকশনে আমরা বেশ ব্যর্থ।