বর্তমানে আমেরিকায় গেলে তাঁর জন্যে লাল কার্পেট বিছিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মার্কিন শিল্পপতি থেকে রাজনীতিবিদরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে লাইন দিয়ে থাকেন। তবে এহেন মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন আমেরিকা তাঁকে ভিসা দেয়নি। এই নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুললেন মোদী নিজে। নিখিল কামাথের পডকাস্টে এই ইস্যুতে মোদী অকপটে বলেন, 'আমার ভিসা নাকচ করে তারা গণতান্ত্রিক সরকারকে অপমান করেছিল।' (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পালাবদলের নেপথ্যে আমেরিকা ছিল বলে মনে করে ভারত? জবাব দিলেন মার্কিন NSA)
আরও পড়ুন: ২ বছর ধরে লাগাতার ধর্ষণের শিকার ক্রীড়াবিদ, কোচ সহ ৬০ জন জড়িত বলে অভিযোগ
মোদী বলেন, 'এমনিতে আমেরিকায় ঘুরতে যাওয়ার বিষয়টি আমার কাছে কোনও বড় ব্যাপার ছিল না। আমি আগেও আমেরিকায় গিয়েছিলাম। তবে আমি তখন মুখ্যমন্ত্রী। আমি গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত একটি সরকারের প্রধান। আমার ভিসা নাকচ করে গণতান্ত্রিক সরকার এবং দেশকে অপমান করা হয়েছিল। সেটা আমার খুব খারাপ লেগেছিল। অনেকেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছড়িয়েছিল। তবে আমি পরে একটি প্রেস কনফারেন্স করি। আমি তখন বলেছিলাম, ভবিষ্যতে সবাই ভারতীয় ভিসার জন্যে লাইন দিয়ে থাকবে। আমি সেই কথাটা ২০০৫ সালে বলেছিলাম। আর এখন দাঁড়িয়ে আমি স্পষ্টতই দেখছি যে ভারতের সময় চলে এসেছে।' (আরও পড়ুন: পরপর প্রচেষ্টায় বিফল, মহাশূন্যে আদৌ 'মিলন' হবে ২ স্যাটেলাইটের? ISRO বলল...)
উল্লেখ্য, গোধরায় সাবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ৫৯ জন কার সেবকের মৃত্যু হয়েছিল ২০০২ সালে। সেই ঘটনার পরে গুজরাট জুড়ে দাঙ্গা হয়েছিল। সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল, মোদীর নিষ্ক্রিয়তার কারণেই এত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল গুজরাট দাঙ্গা। যদিও পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে চলা তদন্তে ক্লিনচিট পান নরেন্দ্র মোদী। (আরও পড়ুন: বছরে ১১০০০০ প্রোমোশন হয়েছে, ক্যাম্পাসিংয়ে নিয়োগ হবে আগের থেকে বেশি: TCS)
আরও পড়ুন: লুকিয়ে আছে কয়েকশো কোটি টাকার সোনা, সিন্ধু নদে 'গুপ্তধন' খুঁজে পেল পাকিস্তান!
এদিকে গোধরা কাণ্ড নিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, '২০০২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আমি প্রথমাবরের মতো বিধায়ক হয়েছিলাম। আমি ২৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় গিয়েছিলান। তখন আমি তিনদিনের বিধায়ক। আর গোধরার মতো ঘটনা ঘটে যায়। আমরা প্রথমে জানতে পারি যে ট্রেনে আগুন লেগেছে। আমরা তারপর জানতে পারি, অনেকের মৃত্যু হয়েছে। আমি তখন বিধানসভায়। তবে আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমি বিধানসভা থেকে বেরিয়ে এসেই বলি, আমি ঘটনাস্থলে যেতে চাই। তখন সেখানে একটাই হেলিকপ্টার ছিল। খুব সম্ভবত সেটা ওএনজিসির ছিল। তবে তারা বলে, সেটা সিঙ্গল ইঞ্জিন চপার। তাই ভিআইপি-কে তাতে উঠতে দেওয়া যাবে না। আমরা তখন তাদের সঙ্গে রীতিমতো ঝগড়া করে বলেছিলাম, যদি কিছু হয়, তাহলে তার জন্যে আমিই দায়ী থাকব।' (আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এক ঘূর্ণাবর্ত, বদলে যাবে বাংলার আবহাওয়া?)
এরপর মোদী বলেন, 'আমি গোধরা পৌঁছালাম। আমি বেদনাদায়ক সেই সব দৃশ্য দেখতে শুরু করলাম। লাইন দিয়ে মৃতদেহ পড়ে সেখানে। আমি সেই বেদনা অনুভব করেছিলাম। বে আমি জানতাম, আমি খুব গুরুত্বপূর্ণ পদে আছি। তাই আমাকে আবেগ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এরপর আমার আবেগ ধরে রাখার জন্যে আমি অনেক কিছু করি। আমি নিজের মনকে শক্ত করি।'