আজ শ্রীনগরে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে ডাল লেকের তীরে যোগ দিবস উপলক্ষে ভাষণ দেন মোদী। সেখানে তিনি বলেন, 'যোগ সমাজে পরিবর্তনের নতুন রাস্তা তৈরি করছে। যোগাব্যায়ামের মাধ্যমে আমরা বিশ্বে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারি। যোগ একটি বিজ্ঞান। আজ সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে ক্রীড়া ক্ষেত্রে যোগব্যায়ামকে সামিল করা হয়েছে। মহাকাশচারীদেরও যোগাসনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এতে কর্মক্ষমতা বাড়ে। যোগাসন আমাদের শরীর ও মনকে শক্তিশালী করে তোলে। যোগ আমাদের ভালোভাবে বাঁচতে শেখায়।' (আরও পড়ুন: এল 'ডিএ নোটিফিকেশন', আচমকাই লক্ষ্মীলাভ বাংলার সরকারি কর্মীদের)
আরও পড়ুন: ১৯ দিন পর ঘুম ভাঙল বর্ষার, অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দক্ষিণবঙ্গে কবে আসবে মৌসুমি বায়ু
শ্রীনগরের ডাল লেকের পাশে শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে আয়োজিত যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শ্রীনগরে যোগ দিবস উপলক্ষে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, 'বিগত ১০ বছরে, যোগব্যায়ামের সম্প্রসারণের ফলে এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের ধারণাগুলির পরিবর্তন ঘটেছে...আজ, বিশ্ব একটি নতুন যোগ অর্থনীতির উত্থানের সাক্ষী। ভারতে, ঋষিকেশ এবং কাশী থেকে কেরল পর্যন্ত, আমরা যোগ ট্যুরিজমের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা লক্ষ্য করছি। যোগ সেন্টারের পাশাপাশি যোগ রিট্রিট, রিসর্ট তৈরি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যটকরা যোগ অভিজ্ঞতার সন্ধানে ভারতে ভিড় করছেন... ব্যক্তিগত যোগ প্রশিক্ষকদের ফিটনেস রুটিনের জন্য খোঁজ বাড়ছে... কোম্পানিগুলিতেও যোগাসন নিয়ে প্রোগ্রাম করা হচ্ছে। যোগাসনের জন্য আলাদা পোশাকের ব্যবসা দারুণ চলছে। এই বিষয়গুলি তরুণদের জন্য নতুন পথ খুলে দিয়েছে। নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছে।' (আরও পড়ুন: জমি দখলের অভিযোগে পুরসভার নোটিশ ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে, আদালতে গেলেন TMC সাংসদ)
আরও পড়ুন: কাগুজে সিগন্যালেই কি কাঞ্চনজঙ্ঘা বিপত্তি ঘটেছিল? দুর্ঘটনা নিয়ে কী বলছে রেল...
এদিকে যোগ দিবস পালনের সূচনা প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণা করে মোদী বলেন, 'যোগ ও সাধনার ভূমি কাশ্মীরে আসতে পেরে আমি ধন্য। যোগ থেকে যে শক্তি পাওয়া যায়, তা অনুভব করতেই শ্রীনগরে এসেছি আমি। আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ১০ বছর পূরণ করেছে। ২০১৪ সালে আমি রাষ্ট্রপুঞ্জে যোগ দিবসের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। ১৭৭টি দেশ এই প্রস্তাবে সমর্থন করেছিল। এটা রেকর্ড ছিল।' মোদীর কথায়, 'গত বছর আমি রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে যোগ দিবসের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আজ গোটা বিশ্বে যোগাসন অভ্যাস করা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সৌদি আরবে শিক্ষা ব্যবস্থাতেও সামিল করা হয়েছে যোগকে। জার্মানিতে আজ দেড় কোটির বেশি মানুষ যোগাব্যায়াম করেন। এখন সমস্ত রাষ্ট্রনেতারাই আমার কাছে যোগাসন নিয়ে প্রশ্ন করেন। তাঁরা আগ্রহ নিয়ে এই বিষয়ে জানতে চান আমার থেকে।'