হিন্দি বলয়ে বিজেপি বড় জয় পেয়েছে। ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস উড়ে গিয়েছে গেরুয়া ঝড়ে। এরপরই ক্রমেই 'উত্তর বনাম দক্ষিণ' বিতর্ক তৈরি হয়েছে কংগ্রেস নেতাদের কথায়। সর্বভারতীয় প্রফেশনাল কংগ্রেস সভাপতি প্রবীন চক্রবর্তী এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন। যাতে তিনি লিখেছিলেন, উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যকার রেখাটি আরও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এরপরই 'উত্তর বনাম দক্ষিণ' বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে কংগ্রেস। অস্বস্তিতে পড়ে হাত শিবির। যদিও প্রবীন চক্রবর্তী পরে নিজের পোসটটি মুছে দেন। এই সবের মাঝেই এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নমোর কথায়, ‘এই ধরনের আরও হারের সামনা করতে হবে বিরোধীদের।’ সঙ্গে ‘বিপদ চিহ্ন’ এবং স্মাইলি সমেত ১৩টি ইমোজি পোস্ট করেন মোদী। (আরও পড়ুন: একদিনেই ৭০০ প্লেসমেন্ট অফার IIT খড়গপুরে, ১ কোটির প্যাকেজ পেলেন ক'জন?)
ইন্ডিয়া টুডের একটি রাজনৈতিক বিশ্লেষণের ভিডিয়ো ক্লিপ শেয়ার করে ক্যাপশনে নরেন্দ্র মোদী লেখেন, 'তারা তাদের অহংকার, মিথ্যা, হতাশা এবং অজ্ঞতা নিয়ে সুখী থাকুক। কিন্তু... তাদের বিভাজনমূলক লক্ষ্য থেকে সাবধান থাকতে হবে দেশবাসীদের। ৭০ বছরের পুরানো অভ্যাস এত সহজে যেতে পারে না। অবশ্য তাদের যেমন বুদ্ধি, তাতে আসন্ন সময়ে তাদের আরও অনেক বিপর্যয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।' এই পোস্টের সঙ্গে ৮টি ‘বিপদ চিহ্ন’ ইমোজি এবং ৫টি স্মাইলি ইমোজি পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শীঘ্রই দেশে মাস্টার্স ডিগ্রির কোর্স হবে ১ বছরের, উচ্চশিক্ষায় বড় বদল আসছে ২০২৪-এ
উল্লেখ্য, চলতি বছরে কর্ণাটক এবং তেলাঙ্গানায় জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। তবে লোকসভা ভোটের আগে হিন্দি বলয়ের তিনটি বড় রাজ্যে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে রবিবার চার রাজ্যের ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হতেই কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম থেকে শুরু করে প্রবীন চক্রবর্তীরা 'দক্ষিণ বনাম উত্তর' বিতর্ক উস্কে দেন। এখন ডিলিট হওয়ে যাওয়া সেই পোল্টে প্রবীন লিখেছিলেন, 'এই দক্ষিণ-উত্তর সীমানা রেখাটা আরও চওড়া হচ্ছে এবং স্পষ্ট হচ্ছে।' বিজেপি নেতা সিআর কেশবন পরে প্রবীনের সেই পোস্টটি শেয়ার করে লেখেন, 'কংগ্রেস দলের লক্ষ্যই হল জাতপাতের ভিত্তিতে ভারতকে বিভাজিত করা এবং সনাতন ধর্মকে উপরে ফেলা। তবে আমাদের দেশের মানুষ সেই লক্ষ্যকে নাকচ করেছে। আর এখন তাদের পরিকল্পনা হল দক্ষিণ বনাম উত্তরের দ্বন্দ্ব শুরু করা। ২০২৪ সালে কংগ্রেসকে ইতিহাসের ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হবে।'
এদিকে এই দক্ষিণ বনাম উত্তরের দ্বন্দ্বে অস্বস্তিতে পড়ে কংগ্রেসও। হাত শিবিরেরই নেতা তেহসিন পুনাওয়ালা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, 'সতর্কীকরণ: এই উত্তর বনাম দক্ষিণের বিভাজন ব্যাকফায়ার করবে। এই ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে কংগ্রেসের ঐতিহ্যকে নষ্ট করা উচিত নয়। যেমনি ভাবে মানুষ সনাতন ধর্মের অপমান সহ্য করেনি, তেমনই ভাবে তারা এই উত্তর বনাম দক্ষিণ বিতর্কও মেনে নেবে না।'