সংসদে এদিন ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্যে কার্যত সমস্ত বিরোধীদলকে একহাত নিয়ে নেন মোদী। বিশেষত কংগ্রেসকে টার্গেট করেই আক্রমণ শানাতে থাকেন তিনি। এদিকে, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব সহ পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে সংসদের এই ভাষণে তিনি কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকেও ছেড়ে কথা বলেননি।কোভিড ইস্যুতে কার্যত একযোগে আপ ও কংগ্রেসকে নিশানা করেন মোদী।
সোমবার সংসদে পেশ করা বক্তব্যে মোদী অভিযোগ তোলেন, বিরোধীদের উস্কানি ছিল ভারতের করুণ কোভিড পরিস্থিতির নেপথ্যে। তিনি বলেন, লকডাউন ভাঙার ক্ষেত্রে বিরোধীদের উস্কানি এসেছিল কোভিডের প্রথম স্রোতের সময়। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ আম আদমি পার্টির সরকার দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের দিল্লি ছাড়তে উস্কানি দেয়। একই অভিযোগ তাঁর শিবসেনা জোটশাসিত মুম্বই নিয়েও ছিল। সেই প্রেক্ষিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এদিন একটি টুইটে মোদীর বক্তব্যের পাল্টা জবাব দেন। কেজরিওয়াল লেখেন, 'প্রধানমন্ত্রীজির এই বয়ান একেবারেই মিথ্যা। দেশ আশা করে যে, করোনাকালে যে মানুষরা পীড়াগ্রস্ত হয়েছেন, যাঁরা আপনজনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী সংবেদনশীল হবেন। মানুষের কষ্টের উপর রাজনীতি করা প্রধানমন্ত্রীকে শোভা দেয়না।' এদিকে কংগ্রেসও বিজেপিকে এই ইস্যুতে ছেড়ে কথা বলেনি। যেখানে লকডাউনের সময় মুম্বইতে টিকিট দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে মোদী কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়েছেন, সেই জায়গা থেকে পাল্টা টুইটারে লেখে, 'যে সময় থেকে অতিমারী শুরু হয়েছে সেই সময় সারা দেশ দেখেছে মোদী কিভাবে নমস্তে ট্রাম্প নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।'
এছাড়াও স্বাধীনতা সংগ্রাম ইস্যুতেও মোদীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস। এদিন সংসদে, মোদী কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, ইংরেজ চলে গেলেও দাসত্বের মানসিকতা থেকে বের হতে পারেনি অনেকে। তিনি বলেন, ইংরেজের 'ভাগ করো আর শাসন করো' নীতিতে অনেকেরই বিশ্বাস রয়েছে। এই জায়গা থেকে পাল্টা কটাক্ষ করে কংগ্রেস। তারা এক টুইটে লেখে, 'ইংরেজকে তথ্য সরবরাহ আপনার লোকজনেরা করেছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধ আপনাদের লোকজন করেছিলেন।' কংগ্রেসের দাবি, সেই মানসিকতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন মোদী। এই ইস্যুতে 'চিনের প্রতি ক্লিনচিট' দেওয়ার অভিযোগও মোদীর বিরুদ্ধে তোলে কংগ্রেস।